‘শেখ হাসিনা নির্বাচনে পরাজিত হলে বাংলাদেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে পড়বে’

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া রাজনৈতিক সংকট থেকে বাংলাদেশকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ভারতের ওপর চাপ বাড়ছে। বিষয়টি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপকে সংকুচিত করছে এবং ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক বিরোধীরা, বিশেষ করে ইসলামপন্থী মৌলবাদী দলগুলো যাতে তাকে সরিয় দিতে পারে সেজন্য উৎসাহ জোগাচ্ছে।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রন্টলাইনে প্রকাশিত এক মন্তব্য প্রতিবেদনে এ কথা বলেছেন সাংবাদিক প্রনয় শর্মা।

এতে বলা হয়েছে, ভারতবিরোধী অনুভূতি ও আনুগত্য বদলানোতে পরিপূর্ণ প্রতিবেশী দেশটিতে শেখ হাসিনার সরকার সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে কাছের এবং একমাত্র নির্ভরযোগ্য অংশীদার। যদিও ভারত ঐতিহ্যগতভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় ‘বড় শক্তি’ হিসাবে স্বীকৃত, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সেই অবস্থানটিকে চীন গুরুতরভাবে চ্যালেঞ্জ করেছে, দেশটির এই অঞ্চলে আগ্রহ এবং পদচিহ্ন দিন দিন বাড়ছে।

 

ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের ‘গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ’ ঠেকাতে এবং সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু নিশ্চিত করতে একাধিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে। নির্বাচনী কারচুপিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকির পাশাপাশি, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) এর বেশ কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গত নির্বাচনে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছিল। ২০০৯ সাল থেকে টানা প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপ্রতিদ্বন্দ্বী কর্তৃত্বের পথ প্রশস্ত করার জন্য নির্বাচনে কারসাজি ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

শেখ হাসিনা দাবি করে এসেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন সবসময়ই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু মার্কিন ও ইউরোপীয় দেশগুলো সমর্থক, কর্মকর্তা ও সরকারি সংস্থাগুলোর ওপর লাগাম টেনে ধরতে এবং সব রাজনৈতিক দলকে নির্ভয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি সম্প্রতি ঢাকায় একটি উপনির্বাচনের সময় স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ওই সময় আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হাতে এক প্রার্থীর উপর হামলার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন শেখ হাসিনা সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দেয়।

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিগত বছরগুলিতে তার গণতন্ত্রের শীর্ষ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশকে বাদ দিয়েছেন। অবশ্য তিনি অন্যান্য দেশের সাথে পাকিস্তান ও ভারতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। হাসিনা যখন মে মাসে বিশ্বব্যাংকের বৈঠকে ওয়াশিংটনে যান তখনও বাইডেন প্রশাসন শেখ হাসিনাকে উপেক্ষা করে।

শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন বাইডেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চলেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একবার সংসদে বলেছিলেন ‘আমেরিকা বিশ্বের যে কোনও সরকারকে ছুঁড়ে ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি এটি একটি মুসলিম দেশ হয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া সংকট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সুবিধাকে সীমিত করেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ অবস্থান শেখ হাসিনার বিরোধীদের চাঙ্গা করেছে। প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) উচ্ছ্বসিত এবং সরকারকে আক্রমণ করে সমাবেশ ও সভা করছে। অন্যান্য সংগঠন, যেমন পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী জামায়তে ইসলামিও মার্কিন অবস্থানের কারণে উৎসাহিত হচ্ছে। শেখ হাসিনার আমলে ‘যুদ্ধাপরাধের’ অভিযোগে অনেক জামায়াত নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছিল। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সংগঠনটির নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে সম্প্রতি জামায়াত নেতারা ঢাকায় একটি বিশাল সমাবেশ করেছে, যা ১০ বছরের মধ্যে প্রথম শক্তি প্রদর্শন।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে আওয়ামী লীগের পতন হবে।’

প্রকৃতপক্ষে, জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য মৌলবাদী সংগঠনের সমর্থনে বিএনপির বাংলাদেশের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা ঢাকা ও নয়াদিল্লিতে বিপদের ঘণ্টা বেজেছে।

 

বাংলাদেশ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র উল্লেখ করে প্রনয় শর্মা লিখেছেন, প্রায় এক দশক ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শেখ হাসিনা বিশ্বাস ও আস্থার একটি দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন যা উভয় দেশ ও অঞ্চলের জন্য কল্যাণকর। বিজেপি নেতাদের মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্য উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তায় বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সফলভাবে টিকিয়ে রেখেছে এবং নিশ্চিত করেছে যে, এটি শক্তিশালী থাকবে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব বাণিজ্য ও বিনিয়োগ থেকে শুরু করে সংযোগ ও নিরাপত্তা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে, যা জনগণের মধ্যে যোগাযোগ অনুঘটক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’ দুটি সরকার একটি জয়জয়কার পরিস্থিতি তৈরি করেছে এবং প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একে অপরের উপর নির্ভরশীল বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তন ব্যাপক মাত্রায় হয়েছে উল্লেখ করে নিবন্ধে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতিতে পরিবর্তন এনেছেন এটা সর্বজন স্বীকৃত। ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ গত এক দশকে বার্ষিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার রেকর্ড করেছে এবং এর সামাজিক সূচকগুলিও  দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশের তুলনায় ভালো।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশ বিগত ৫০ বছরে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। জন্মের সময় দরিদ্রতম দেশগুলির মধ্যে একটি থেকে এটি এখন দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর একটি। ২০২২ সালে কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের পরে খাদ্য, জ্বালানি এবং সার সরবরাহে বাধার কারণে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছিল এবং পেয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত ও চীনের জন্য যুদ্ধক্ষেত্র হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রত্যেকেই দেশটিতে তাদের প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) বিরাজমান উত্তেজনা তাদের অবস্থানকে আরও শক্ত করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে জাহির করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ায় এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে, মার্কিন-চীন বৈরিতা বাংলাদেশের উপর তার দীর্ঘ ছায়া ফেলেছে।

ঢাকার রাষ্ট্রবিজ্ঞানী শাহাব এনাম খান বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের যথেষ্ট বাণিজ্য স্বার্থ রয়েছে, যেটি তাদের পোশাকের বড় বাজারের মধ্যে একটি। মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধ বাংলাদেশের আর্থিক যোগাযোগ এবং শ্রমের গতিশীলতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে চাপে ফেলতে পারে।’

চীন বাংলাদেশের আরো কাছাকাছি চলে আসছে উল্লেখ করে মন্তব্য প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের টানাপোড়েন চীনকে শেখ হাসিনার কাছাকাছি যেতে দিয়েছে। জুন মাসে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি।’ চীন আরও বলেছে, তারা স্বাধীন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি সমুন্নত রাখতে এবং জাতীয় বাস্তবতার সাথে মানানসই একটি উন্নয়নের পথ অনুসরণ করতে বাংলাদেশকে সমর্থন করে।

কিন্তু এই পরিস্থিতিকে ভারত দ্বিগুণ আঘাত হিসেবে দেখছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা প্রত্যাশা বাড়িয়েছে যে, তারা শেখ হাসিনার পক্ষে বাইডেন প্রশাসনের ওপর হস্তক্ষেপ করবে। ঢাকার পাশে চীনের দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত এখন অপরিহার্য করে তুলেছে যে, দিল্লি ওয়াশিংটনের ওপর তার প্রভাব ব্যবহার করে শেখ হাসিনাকে বেইল আউট করবে। যুক্তরাষ্ট্র যদি বাধ্য না হয়, তাহলে পরাজিত হবে ভারত।

ভারতের আশঙ্কা, শেখ হাসিনা বিদায় নিলে বাংলাদেশে বৈরী শাসনের মুখোমুখি হবে। তবে চীন বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যার নেতৃত্বও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ। তাই বিএনপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশে চীনের স্বার্থ বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা কম।

লন্ডনের এসওএএস ইউনিভার্সিটির সিনিয়র লেকচারার এবং দক্ষিণ এশীয় কৌশলগত বিষয়ের বিশেষজ্ঞ অবিনাশ পালিওয়াল ফ্রন্টলাইনকে জানিয়েছেন, ভারতের প্রধান চ্যালেঞ্জ হল শেখ হাসিনা বড় ধরনের ক্ষমতাবিরোধীতার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং বিএনপি রাজনৈতিক গতি পাচ্ছে। ‘যদি দলটি নির্বাচনে জয়লাভ করে, এই চ্যালেঞ্জটি নয়াদিল্লির জন্য আরও বেশি চাপ সৃষ্টি করবে’-বলেন তিনি।

অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, শেখ হাসিনার ব্যাপারে মার্কিন বিরোধিতার আসল কারণ চীনের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা এবং তথাকথিত গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণ নয়। ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক চীনা বিবৃতি বড় দুটির মধ্যে একটি দীর্ঘ ভূ-রাজনৈতিক সংগ্রামের চূড়ান্ত পরিণতি’-বলেন পালিওয়াল।

বাংলাদেশে আমেরিকার স্বার্থের বিষয়ে প্রনয় শর্মা লিখেছেন, ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। তারা ঢাকাকে ফ্রিগেট এবং সামরিক পরিবহন বিমান সরবরাহ করেছে। তারা চায় দুই সরকার কয়েকটি মৌলিক চুক্তি স্বাক্ষর করুক – সামরিক চুক্তির সাধারণ নিরাপত্তা ও অধিগ্রহণ এবং ক্রস সার্ভিসিং চুক্তি – যা পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে বাড়াবে। তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের কোনো তাড়া নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চুক্তিগুলি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সম্পর্ক তৈরি করতে এবং প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত বাণিজ্য, তথ্য আদান-প্রদান এবং সামরিক সহযোগিতার সুযোগ প্রসারনে সহায়তা করবে।

পালিওয়ালের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদ বাংলাদেশকে চীনের অবস্থানের জন্য আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে এবং মার্কিন প্রশাসন মনে করে, বিএনপি চীনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে। ‘ধারণাটি সম্পূর্ণরূপে বেইজিংয়ের উপস্থিতি বাতিল করা নয়, তবে একে সীমাবদ্ধ করা’-বলেছেন পালিওয়াল।

জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া পররাষ্ট্র দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপচারিতার সময়, তিনি বিগত বছরগুলিতে ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ঢাকার প্রশংসা করেন, তবে তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন।

এশিয়া ইনস্টিটিউটের কুগেলম্যান বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ঢাকার সাথে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ব্যাপারে সত্যিকারার্থে আগ্রহী। তবে তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শক্তিশালী প্রণোদনা দিতে চায়, যাতে ঢাকার সাথে তাদের সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন না হয়।’

বেশিরভাগ বর্ণনা অনুযায়ী, শেখ হাসিনা নির্বাচনে হেরে গেলে, বাংলাদেশ কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য লড়াই করতে পারে এবং আবারও সন্ত্রাসী ও মৌলবাদী শক্তির আড্ডায় পরিণত হতে পারে। আওয়ামী লীগের বিদায় শুধুমাত্র ভারতের জন্য নয়, সমগ্র অঞ্চলের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে যদি তা দক্ষিণ এশিয়ায় আরেকটি অস্থিরতা ও সহিংসতার সূচনা করে।