পছন্দ হলে নির্বাচনে আসুন, না হলে যা ইচ্ছা করুন

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

নিরপেক্ষ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, পছন্দ হলে নির্বাচনে আসুন, না হলে যা ইচ্ছা করুন। তবে আগুন নিয়ে খেললে খবর আছে।

 

শনিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের শোক দিবসের আলোচনা সভায় একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে মির্জা আব্বাস বলে সংবিধান আমরা মানি না। কেন মানে না, এটার মধ্যে কি কাঁটা আছে? এটা নাকি কাঁটাছেঁড়া করেছি। কাঁটাছেঁড়া আমরা করিনি, করেছে সেনাপতিরা। প্রথম করেছে জিয়াউর রহমান।

 

‘হবে না, তত্ত্বাবধায়ক হবে না। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন না, সংসদ ভাঙবে না। স্বাধীন এ নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। পছন্দ হলে নির্বাচনে আসুন, না হলে যা ইচ্ছা করুন। তবে আগুন নিয়ে খেললে খবর আছে। আগুন নিয়ে খেলতে আসবেন না। আগুন নিয়ে খেলতে আসলে প্রতিহত করা হবে, সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। ২০১৩/২০১৪ আর ২০২৩ সাল কিন্তু এক নয়।’

বিএনপি আজীবন বিরোধী দলে থাকবে দাবি করে তিনি বলেন, আর মির্জা ফখরুলের লাফালাফি। লাফালাফি, এই বুঝি গেল শেখ হাসিনার গদি, গদি গেল। ফখরুল ইসলাম, নেতিবাচক বিদ্বেষমূলক রাজনীতির কারণে আজীবন আপনাদের বিরোধী দল থাকতে হবে। আজীবন বিরোধী দলের খাতায় নামটা লিখে রাখুন।

 

‘জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। জিয়াউর রহমান ২৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। জিয়াউর রহমান পুত্র ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড। বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি রক্তপাত শুরু করেছে জিয়াউর রহমান।’

কাদের বলেন, বাংলাদেশে এরাই জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করছে। বাংলাদেশকে নতুন করে আফগানিস্তান বানানোর চেষ্টা করছে। ওরা শেখ হাসিনাকে সহ্য করতে পারে না।

বিদেশিরা শুধু বাংলাদেশকে পেয়ে বসেছে বলে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ বছর বিশ্বের ২২টি দেশে নির্বাচন হবে। বাংলাদেশ ছাড়া আমি একটা দেশও খুঁজে পাচ্ছি না, যেখানে বড় বড় দেশগুলো একেকবার প্রতিনিধি, কখনও কংগ্রেসম্যান, মন্ত্রী গিয়ে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছে, কোথাও কোনও প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশ, কী অপরাধ আমাদের গণতন্ত্রের, কী অপরাধ আমাদের উন্নয়নের। গণতন্ত্র আছে বলেই বিশ্ব আজ এত উন্নয়নের মুখ দেখছে। গণতন্ত্র অব্যাহত না থাকলে এত উন্নয়ন সম্ভব হতো না।

 

‘গণতন্ত্রের যারা প্রবক্তা, মানবাধিকারের যারা প্রবক্তা তাদের যদি বলি; ইউক্রেনে এক বছরে ৭৫ বিলিয়ন ডলার আপনারা পাঠিয়েছেন, রেজাল্ট কী নিজেরাই অংক করে হিসাব করুন। ৭৫ বিলিয়ন ডলারে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে? না কারও পরাজয় হয়েছে? সোমালিয়ায় প্রতিদিন মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে, সোমালিয়ায় মিনিটে মিনিটে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। কই এখানে তো কিছু করতে পারলেন না।’

তিনি বলেন, জাতিসংঘের কথা ইজরাইল শোনে না। আজকে একজন সাংবাদিককে রিফিউজি ক্যাম্পে গিয়ে ইজরাইলি সৈন্যরা হত্যা করে। সবাই জানে কে তাকে মেরেছে। অথচ এখানে ওয়াশিংটন নীরব। ওয়াশিংটন জানে, তারপরেও ইজরাইলকে কিছু বলে না। প্রতিদিন ফিলিস্তিনে লাখো মানুষ মারা যাচ্ছে, ওয়াশিংটনের শাসন এখানে নেই। তারা পেয়েছে শুধু বাংলাদেশকে। তারা পেয়েছে, পান থেকে চুন খসলে আমাদের ভিসানীতি দেবে, পান থেকে চুন খসলে ভিসানীতি দেবে। হুমকি-ধমকি।

 

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল হাসান মিলন।