‘স্বপ্ন’ হারিয়ে হায়দার আলীর কান্না

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

মাত্র চার দিন আগে জমি বিক্রি করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কেনেন হায়দার আলী। তিনি ভেবেছিলেন অটোরিকশা হলে সংসারের অভাব ঘুঁচবে। বয়স্ক শরীর নিয়ে কষ্ট করে আর রিকশা চালাতে হবে না। সব মিলিয়ে একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। কিন্তু দুদিনের মধ্যেই নতুন কেনা অটোরিকশা চুরি হয়ে যাওয়ায় হায়দার আলীর ‘স্বপ্ন’ ভেঙে গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের পার্করোডে হায়দার আলীর অটোরিকশা চুরি হয়ে যায়। তিনি পৌরসভার বেলাইল এলাকার মৃত জুরান আলী আকন্দের ছেলে। ঘটনার পর সদর থানায়  জিডি করেছেন হায়দার আলী।

 

ঘটনার আগে হায়দার আলী অটোরিকশা নিয়ে সাতমাথায় আসেন। যানজট কমাতে অটোরিকশা আপাতত সাতমাথায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে ট্রাফিক পুলিশ শাস্তিস্বরূপ  তার অটোরিকশার সিট খুলে পুলিশ বক্সে রেখে দেন। এরপর হায়দার আলী অটোরিকশা রেখে সিট আনার জন্য পুলিশ বক্সে যান। ফিরে এসে দেখেন তার অটোরিকশা নেই। আশপাশে তন্নতন্ন করে খুঁজে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন হায়দার আলী।

হায়দার আলী বলেন, আমি বয়স্ক মানুষ। ১ বছর আগে শহরের তিনমাথায় চায়ের দোকান দিয়েছিলাম। নতুন করে ৪ লেনের সড়ক নির্মাণ করায় চায়ের দোকান উঠিয়ে দেয়। এরপর একবছর বসেই ছিলাম। কিন্তু সংসার তো চলে না। তখন জমি বিক্রি করে গত রোববার একটি নতুন ইজিবাইক কিনি। এখন সেটাও চুরি হয়ে গেল। কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

বগুড়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মাহবুবুল ইসলাম খান বলেন, যানজট নিরসনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক সাতমাথায় প্রবেশ নিষিদ্ধ। কেউ ঢুকলে শাস্তিস্বরূপ গাড়ির সিট নেয়া হয়। কিন্তু তারপরও অনেক অটোরিকশা সাতমাথার ভেতরে সপ্তপদী মার্কেটের সামনে দেখা যায়। সেগুলো যাত্রী নিয়ে মাটিডালি পর্যন্ত যাতায়াত করে। এর কারণে জানতে চাইলে মাহবুবুল ইসলাম খান সদুত্তর দিতে পারেননি।

 

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনুজ্জামান বলেন, হায়দার আলীর রিকশা উদ্ধারে আমরা কাজ করছি। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে চোর শনাক্তের কাজ চলছে।