নির্বাচনে জিতেও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হতে পারলেন না পিটা

:
: ১২ মাস আগে

জাতীয় নির্বাচনে জিতেও প্রধানমন্ত্রী হতে পারলেন না থাইল্যান্ডের মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির (এমএফপি) নেতা পিটা লিমজারোয়েত। বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় আপাতত প্রধানমন্ত্রী হতে পারছেন না তিনি।

গত মে মাসে শেষ হওয়া জাতীয় নির্বাচনে প্রায় এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা সাবেক সেনা প্রধানকে পরাজিত করে জয় পায় পিটার নেতৃত্বাধীন জোট। তবে ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর লিখিত নির্বাচন বিধি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী হতে হলে জাতীয় নির্বাচনে কেবল জয় পেলেই হবে না, বরং পার্লামেন্টেরও সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেতে হবে। দেশের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে বর্তমানে যারা রয়েছেন, তাদের অধিকাংশই সেনাবাহিনীর নিয়োগ দেওয়া এবং তাদেরকে রক্ষণশীল দলের অংশ মনে করা হয়।

 

পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন পিটা। কিন্তু ৭৪৯ সদস্য নিয়ে গঠিত পার্লামেন্টে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ভোটে ১৩ জন সিনেটরসহ মাত্র ৩২৪ জন তাকে সমর্থন করেছেন। তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৮২ জন। আর ভোট দানে বিরত ছিলেন ১৯৯ জন।

আগামী সপ্তাহে অবশ্য পিটার জন্য আরেকটি সুযোগ থাকছে। এবারও ৪২ বছর বয়সী পিটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে পার্লামেন্টের ৭৪৯ সদস্যের অর্ধেকের বেশি ভোট প্রয়োজন হবে তার।

বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের ভোটে পরাজিত হওয়ার পর ফল মেনে নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এটা মেনে নিচ্ছি কিন্তু আমি হাল ছাড়ছি না। আমি আত্মসমর্পণ করব না এবং এই সময়টিতে আরও সমর্থন আদায়ে ব্যবহার করব।।’