পরিত্যক্ত বোতল দিয়ে ডাস্টবিন তৈরি করে প্রশংসায় ভাসছেন শিক্ষার্থী

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

পটুয়াখালী শহরের ঝাউতলা এলাকার ৪ লেন সড়কে গেলে চোখে পড়বে বোতল দিয়ে তৈরি করা ডাস্টবিন। শুধু ঝাউতলা এলাকায় নয়—শহরের বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট জুবলি স্কুল এলাকায় রয়েছে বোতলের তৈরি এই ডাস্টবিন। পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি চমৎকার এই ডাস্টবিন দৃষ্টি আকর্ষণ করবে যে কারও। অনেককে আনন্দ নিয়েই এই ডাস্টবিন ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

অভিনব এ উদ্যোগটি নিয়েছেন পটুয়াখালীর বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান রাইয়ান। তিনি রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ব্যক্তি উদ্যোগে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাঁচটি ডাস্টবিন স্থাপন করেছেন। শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নাগরিকদের সম্পৃক্ত করতে; যত্রতত্র ময়লা না ফেলার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বানিয়েছেন ডাস্টবিনগুলো।

মাহমুদুল হাসান রাইয়ান বলেন, ‘আমাদের শহরের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতলগুলো ফেলে রাখে। যা পরিবেশের অনেক বড় ক্ষতি করে ও জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ। তাই আমি চিন্তা করি এসব পরিত্যক্ত বোতল কাজে লাগিয়ে মানুষকে কীভাবে সচেতন করা যায়—এরপরই এই উদ্যোগ নিই।

রাইয়ান আরও বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচটি ডাস্টবিন তৈরি করেছি। আরও তৈরি করে শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দেব।’

এদিকে অভিনব এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন শহরের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে আশপাশের দোকানদার, পথচারী এবং এই এলাকায় আগত বিভিন্ন পেশার মানুষ।

পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান সালেহীন বলেন, ‘ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের অভাবে আমরা নির্দিষ্ট জায়গায় প্লাস্টিকের বর্জ্য ফেলতে পারি না। দেখতে একটু ভিন্ন আকৃতির হওয়ায় এই উদ্যোগ আমাদের প্লাস্টিকের মোড়ক আর বোতলগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে উৎসাহ দিচ্ছে।

ঝাউবন এলাকায় ঘুরতে আসা তাসনিম জাহান বলেন, ‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে আমাদের প্লাস্টিক বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলা উচিত। কিন্তু সেই ডাস্টবিন আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ তেমন একটা দেখতে পাই না। এটা ভালো উদ্যোগ, তবে এর পাশাপাশি সবাই যাতে এখানে বর্জ্য ফেলে সেই সচেতনতাও সৃষ্টি করতে হবে।’

প্লাস্টিকের বর্জ্য দিয়ে ভরে গেলে বোতল আকৃতির এই ডাস্টবিনগুলো পটুয়াখালী পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা পরিষ্কার করে দিচ্ছেন।