ভারতের মধ্যপ্রদেশে আদিবাসী যুবকের গায়ে প্রস্রাবের দায়ে অভিযুক্তের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার অভিযুক্ত প্রবেশ শুক্লার বাড়ির একাংশ গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর প্রশাসন জানিয়েছে, বাড়ির ওই অংশ বেআইনিভাবে জমি দখল করে তৈরি করা হয়েছিল।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হচ্ছে প্রবেশ শুক্লার বাড়ির একটি অংশ।
এক সরকারি কর্তা বলেন,‘তফসিলি জনজাতির এক যুবকের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছেন রমাকান্ত শুক্লার ছেলে প্রবেশ শুক্লা। অতীতে তার অপরাধে জড়িত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। রমাকান্তের বাড়ির একটি অংশ বেআইনিভাবে দখল করা জমিতে তৈরি হয়েছে। তাই ওই অংশ ভেঙে দেওয়া হল।’
দুদিন আগে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, এক আদিবাসী যুবকের গায়ে প্রস্রাব করছেন এক যুবক। প্রবেশ নামের ওই যুবক সিধি জেলায় থাকেন। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যে আদিবাসী যুবককে ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ তাকে চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। যুবকের নাম দশমত রাভত।
৩৬ বছরের দশমত দাবি করেছেন, ভিডিওটি ভুয়া। প্রবেশকে ফাঁসানোর জন্য ওই ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। বিরোধীরা দাবি করেছেন, আদিবাসী যুবককে দিয়ে ওই বক্তব্য জোর করে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। চাপে পড়েই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি তিনি। এই নিয়ে মধ্যপ্রদেশ সরকারের দিকেও আঙুল তুলেছে বিরোধীরা।
কংগ্রেসের দাবি, অভিযুক্ত প্রবেশের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের দেখা গেছে। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এর পরেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হন। তার নির্দেশে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।