বরিশালের ঘটনা তদন্তে প্রধান বিচারপতির প্রতি আহবান

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

অবাধ,ষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে ব্যার্থ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে করতে না পারার কারনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের পদত্যাগ দাবী করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ এর ১৩১ জন মুক্তিযোদ্ধা। চরমোনাইপীরের অনুসারি এই মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জনগণের স্বার্থে স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবিলম্বে পদত্যাগ করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের পথ পরিস্কারে দেশবাসীকে সহযোগিতা করতে আহবান জানিয়েছেন।

আজ ২০ জুন, মঙ্গলবার, গণমাধ্যমে প্রেরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ভুক্ত ১৩১ মুক্তিযোদ্ধা উপরোক্ত কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ১২ জুন প্রশাসন ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্লজ্জভাবে কাজ করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যানা কমিশনাররা জনগনকে বোকা বানাতে সিসিটিভির নাটক মঞ্চস্থ করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তারা। বলেন, প্রার্থী নিজে রিটার্নিং অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের ও গণমাধ্যমে সচিত্র রিপোর্ট প্রকাশের পরেও নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ না নেয়া দুঃখজনক।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রশ্ন রেখে বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে এসে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নামে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগনের কাছে নেতিবাচক ধারণা দেয়া হচ্ছে কোন অপশক্তির স্বার্থে? নির্বাচন কমিশনের এই ব্যর্থতা দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভোমত্ব ও অস্তিত্বের জন্য হুমকির কারন হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে বলাহয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের পক্ষ থেকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জোরালো বক্তব্যের পরে নির্বাচনে অংশ নিয়ে যেই প্রার্থী হামলার স্বীকার হয়েছেন তাঁকে দেখতে গিয়ে সমবেদনা জ্ঞাপন না করা এবং হামলার ঘটনার পরিকল্পনাকারী ও হামলাকারীদেরকে এখনো আইনের আওতায় না আনা রহস্যজনক। দেশের জনগন মনে করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অপর কমিশনাররা হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকতে পারেন। এ বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করতে মাননীয় প্রধান বিচারপতির প্রতি আহবান জানানো হয়।

বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ সদস্যবৃন্দ বলেন, ভোট কারচুপি, ভোটারদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নৌকার বাটনে চাপ দিয়ে ভোটারদের ভোটদানে বাধ্য করা, নৌকার এজেন্ট রেখে অন্য প্রার্থীর এজেন্টদেরকে বের করে দেয়। এ সবের বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করার পরই সরকার দলীয় নেতা কর্মীরা হাতপাখা প্রতিকের প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের উপর পর পর ২ বার তার মুখমন্ডলে অতর্কিত হামলা করে রক্তাক্ত ও যখম করে আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন জনগনকে নির্বাচন থেকে দূরে থাকার বার্তা দিচ্ছে।

বিবৃতিদাতা বীর মুক্তিযোদ্ধার হলেন মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, মোঃ আবদুল কাশেম, মোঃ খালেকুজ্জামান, এইচ এম মহিউদ্দিন মন্ডল, আবদুল মালেক, মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ এমদাদুল হক খান, মোতালেব খান, আবদুল গফুর, এমদাদুল হক খান, মোঃ আবু সিদ্দিক, গোলাম মাওলা মাস্টার, তবারক ইসলাম, মোঃ আবদুর রব পাটোয়ারী, আবদুস সাত্তার সরকার, আবদুল গণী, পি এম শাহজাহান সরকার, মোঃ আবুল কাশেম, মোঃ আমীন উদ্দীন খান, বজলুর রশিদ ভূইয়া, আবদুল জলিল ভুঁইয়া, মোঃ মনির হোসেন সিকদার, মোঃ খলিলুর রহমান, মোঃ মুনসুর আলী, শেখ মুজিবুর রহমান, জি এম কিবরিয়া, আবদুল হামিদ মাষ্টার, মোঃ মহিউদ্দিন মিয়া, এইচ এম সালাহ উদ্দিন, মোঃ আইনুল হক ও মোঃ আবদুল হাই প্রমূখ।