সদ্য অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জামানত হারাচ্ছেন ৫ জন মেয়র প্রার্থী। প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম পেয়ে ওই ৫ মেয়র প্রার্থীর জামানত বাতিল হচ্ছে।
নিয়ম অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার ভোটের কম পেয়েছেন এমন মেয়র প্রার্থীরা হলেন, হাতি প্রতীক স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামন, হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী হোসেন হাওলাদার, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের মিজানুর রহমান বাচ্চু, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, টেবিলঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন।
এর মধ্যে হাতি প্রতীক পেয়েছেন মাত্র ৫২৯ ভোট, হরিণ প্রতীকে ২ হাজার ৩৮১ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে ২ হাজার ৫৪৬ ভোট ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে ৬ হাজার ৬৬৫ ভোট ও টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৯৯ ভোট।
সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, বাতিল হওয়া জামাতের ওই অর্থ নির্বাচন কমিশনের আয়ের খাতে চলে যাবে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী পেযেছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।
সোমবার (১২ জুন) দিনভর নির্বাচনে ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৭ ভোটের মধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজার ১৭৭ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে ৪২১টি ভোট বাতিল হয়েছে। এখানে মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫৬টি। যার গড় ৫১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।