হিজলায় ফখরুল ইসলামকে গণধোলাই

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল হিজলা উপজেলার গৌরবদী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতির ফখরুল ইসলাম বেপারীর বিরুদ্বে শালিশ মিমাংসার নামে অর্থ চেয়ে খলিল জমাদ্দার নামের এক ব্যাক্তিকে মারধরের প্রতিবাদে এলাকাবাসী কতৃক গণধোলাই দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে, ভুক্তভোগী খলিল জমাদ্দার মান্দ্রা বাজার এলাকার আলী জমাদ্দারের ছেলে। অপরদিকে ফখরুল ইসলাম গৌরবদী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মৃত সোবাহান বেপারীর ছেলে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী খলিল জমাদ্দার সাংবাদিকদের বলেন, মাস খানেক আগে আমার সাথে অপর একটি পক্ষের জমি নিয়ে একটু জামেলা থাকায় শালিশ ডাকা হয়। শালিশীতে ফখরুল উপস্থিত থাকায় সে আমাকে শালিশীতে আমার পক্ষে রায় পাইয়ে দিবে বলে ভিবিন্ন সময় টাকা দাবী আসছিলো।

যার’ই ধারাবাহিকতায় ২৪ মে দুপুর ১টার দিকে মান্দ্রা বাজারে বসে আমার কাছে আবার টাকা চাইলে আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে চড়-থাপ্পর ও কিল ঘুষি মারা শুরু করলে স্থানীয়রা তার প্রতিবাদ করলে স্থানীয়দের সাথেও খারাপ ব্যাবহার করা শুরু করলে উত্তেজিত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ফখরুল ইসলামকে গণধোলাই দেয়। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানাগেছে, ফখরুল ইসলাম বেপারী একসময় গরু দিয়ে হাল চাষ করলেও ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরে তিনি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যান। ভুক্তভোগী খলিল জমাদ্দার জানান, ফখরুল ইসলাম বেপারী স্থানীয় এক হেবি ওয়েট নেতার প্রভাব বিস্তার করে সবার সাথে জামেলা তৈরি করলেও কেউ ভয়ে কোন প্রতিবাদ করেনা। বর্তমানের তিনি (ফখরুল ইসলাম) বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার সাথে শেয়ারে ইটের ব্রিকসের ব্যাবসার সাথে জড়িত রয়েছেন। ভুক্তভোগী জলিল জমাদ্দার সাংবাদিকদের জানান, গত উপজেলা নির্বাচনের পরেও (আমার পছন্দের প্রার্থী এনায়েত হোসেন নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরে) তিনি (ফখরুর ইসলাম) আমাকে বলেন, তোর কোন বাপ এখন তোকে বাচাঁবে ? তুই বাচঁতে চাইলে আমাকে ২লক্ষ টাকা দিবি।

খলিল জমাদ্দার আরো জানান, ফখরুল ইসলাম একটি প্রগ্রামে দারিয়ে সকলের সামনে বরিশালের আলীগের সিনিয়র নেতা এ্যাড. আফজালুল করিমকে “২ টাকার উকিল বলেও কটাক্ষ করেন”। অভিযোগেে বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম বেপারী বলেন, এগুলো সব মিথ্যা কথা। আপনি আমাদের এলাকায় এসে জানতে পারেন। আমি এই কাজ করলে আমারে মানুষে বাজার কমিটির সভাপতি বানায় ? (বি: দ্র: সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যাক্তি বা বিষয়ের দায়ভার নিউজ প্রোটাল কিংবা প্রতিবেদক গ্রহন করবেনা। এই নিউজটি সম্পূন্য অভিযোগকারী (ভুক্তভোগী), অপর পক্ষ ও স্থানীয়দের বক্তব্য দিয়ে ছাপা হয়েছে।)