গাজীপুরে অনিয়ম হলে গাইবান্ধার চেয়েও কঠিন অ্যাকশন: ইসি

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ মে) অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে কোনও অনিয়ম হলে গাইবান্ধা উপনির্বাচনে যে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন, এর চেয়েও কড়া অ্যাকশন নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। এছাড়া গাজীপুরের ভোটের পরিবেশ শুধু বাংলাদেশ নয়, উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক ভালো বলে দাবি করেন তিনি।

রোববার (২২ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

প্রত্যেকটা বুথে সিসি ক্যামেরা থাকবে জানিয়ে কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ঢাকায় বসে সিইসিসহ অন্যান্য কমিশনার, কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা তা পর্যবেক্ষণ করবে। আমরা কোনো অভিযোগ দেখলে আইনে যেভাবে অ্যাকশন নেওয়ার কথা সেভাবেই নেওয়া হবে। গাইবান্ধায় তো কেবল নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। এখানে তার চাইতেও কঠিন অ্যাকশন হবে। আপনারা দেখেন।

সম্প্রতি পাঁচ সিটি নির্বাচনে ভোটের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে ভোট ২৫ মে। এই ভোটে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন প্রচারে বের হলে একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, তারা এ ধরনের কোনও অভিযোগ পাননি।

গাজীপুরে এখন পর্যন্ত যে পরিস্থিতি আছে তাতে কেবল বাংলাদেশ নয়, এই সাবকন্টিনেন্টের কনটেক্সটে (উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে) অত্যন্ত ভালো আছে বলে দাবি করেন ইসি আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ শুধু বাংলাদেশ নয়, উপমহাদেশের কনটেক্সটে ভালো আছে এখন পর্যন্ত। এবং নির্বাচন দিন ফলাফল পর্যন্ত ভালো থাকবে।’

তিনি বলেন, আমরা কোনও অভিযোগ দেখলে আইনে যেভাবে অ্যাকশন নেওয়ার কথা সেভাবেই নেওয়া হবে। গাইবান্ধায় তো কেবল নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। এখানে তার চাইতেও কঠিন অ্যাকশন হবে। আপনারা দেখেন।

ইসি বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ও সুষ্ঠুভাবে প্রচার হচ্ছে। মেইন স্ট্রিটের মিডিয়ায় গাড়ি ভাঙচুরের কোনো ভিডিও আসেনি। কোনো পত্রিকাতেও লেখা হয়নি। গতকাল আমি নিজে গিয়েছি গাজীপুর। এর আগেও গিয়েছি। সবাই মাইক দিয়ে প্রচার করছে দেখেছি। আমি তো আর যাওয়ার সময় বলে যাইনি যে, আমার সামনে দেখানোর জন্য একটু আসেন। গাজীপুর শহরের এক জায়গা দিয়ে ঢুকে আরেক জায়গা দিয়ে বের হই। আমার তো পরিচিত লোকজনও আছে। তাদের কাছ থেকেও খোঁজ নিই। অত্যন্ত সুন্দরভাবে প্রচার হচ্ছে। তারপরও আমাদের দেশে সংস্কৃতি যেটা দ্বিতীয় পক্ষ মুখোমুখি হয়ে যায়। এও স্লোগান দেয়, সেও স্লোগান দেয় স্বাভাবিকভাবেই। তখন পুলিশ থাকে মাঝে। পুলিশ সুন্দরভাবে ভূমিকা পালন করছে।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন পরিস্থিতি কি কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, আপনাদের মনে হয় কি নাই? না থাকার প্রমাণ দেন।

কেন্দ্রে ভোটারদের বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে এই কমিশনার বলেন, যেতে যদি বাধা দেওয়া হয়- ৫৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বিজিবির টিম থাকবে, র‌্যাব থাকবে, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। এরপরও নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার তো কোনো কারণ নাই। ভোটাররা যদি বলে যে ভয় পাচ্ছি, তো আন্দাজে ভয় পাইয়ে তো লাভ নাই। উনি ঘর থেকে বের হোক। ভোট দিতে যাক। তারপর যদি কেউ বাধা দেয় তখন বলুক। আমাদের কাছে পাঠাক যে উমুকে বাধা দিচ্ছে। দেখেন তখন কী হয়। কঠিন অ্যাকশন হবে।

এজেন্টের স্বাক্ষর ছাড়া তারা কোনও ফলাফল শিট গ্রহণ করবেন না জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, না হলে সেখানে সার্টিফাই করতে হবে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে, যে এখানে এই পক্ষের কোনও এজেন্ট উপস্থিত ছিল না। এর আগে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাবে যে নাই। তখন আবার প্রার্থীকে জানানো হবে যে, নাই কেন, আপনার এজেন্ট নিয়ে আসেন। কেউ যদি বলে তাহলে পুলিশ নিজে গিয়ে দিয়ে আসে।