বাংলাদেশ ও মরিশাস দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী। পর্যটন, শিক্ষা, কৃষি, যোগাযোগ, আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতে একসঙ্গে কাজ করবে দুই দেশ। শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে মরিশাসের সফররত প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজসিং রূপনের বৈঠকে এই মতামত ব্যক্ত করা হয়।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে বলেন, উভয় রাষ্ট্রপ্রধান ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দুই দেশের সম্ভাবনাময় খাতে যৌথ বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন।
৬ষ্ঠ ভারত মহাসাগর সম্মেলনে যোগদানের জন্য বর্তমানে তিনদিনের সফরে ঢাকায় রয়েছেন মরিশাসের প্রেসিডেন্ট। ভারত মহাসাগরীয় রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ)’র অধীনে পর্যটন, মৎস্য ও মহাসাগরীয় অর্থনীতি-সহযোগিতার ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বাংলাদেশে হাইটেক পার্কে বিনিয়োগেও আগ্রহপ্রকাশ করেছেন পৃথ্বীরাজসিং।
প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজসিং রূপন তার প্রথম বাংলাদেশ সফরে সন্তোষপ্রকাশ করে দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। মরিশাসকে একটি বহু-জাতিক সমাজ উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মরিশাসের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ মর্যাদা অর্জন করেছে। ‘রূপকল্প ২০৪১’-এর পর সরকার এখন ‘স্মার্ট’ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে।
রাষ্ট্রপতি মরিশাসে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেখভালের জন্য দেশটির সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে ধারাবাহিক সমর্থনের জন্য মরিশাস সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের কথা উল্লেখ করে মরিশাসকে বাংলাদেশ থেকে কার্গো ভেসেলসহ জাহাজ আমদানির আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য কৃষি, শিক্ষা এবং আইটি খাতে আরও উচ্চ-পর্যায়ের সফর, বিমান যোগাযোগ এবং প্রশিক্ষণ বিনিময়ের ওপর জোর দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পোর্ট লুইসের একটি রাস্তার নামকরণের জন্য রাষ্ট্রপ্রধান মরিশাস সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।