রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। গন্ধ তীব্র বলেও জানাচ্ছেন অনেকে। এ ঘটনার পর আপাতত বাসাবাড়িতে গ্যাসের চুলা না জ্বালাতে এবং নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তিতাস।
অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিস থেকে বলা হয়েছে, যেসব এলাকায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, আপাতত সেসব জায়গায় কয়েক ঘণ্টা চুলা জ্বালানো থেকে বিরত থাকাই নিরাপদ হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট রাস্তায় টহলে বের হয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঢাকা শহরের ফায়ার সার্ভিসের সবগুলো ইউনিট।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১০টার পর থেকে রাজধানীর মগবাজার, ইস্কাটন, খিলগাঁও, রামপুরা, মহাখালী ও নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কাছে গ্যাস লিকেজের খবর জানিয়ে ফোন আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বলেন, রাত দশটার পর থেকে রাজধানীর খিলগাঁও, রামপুরাসহ প্রায় পুরো রাজধানী থেকে আমাদের কাছে গ্যাস লিকেজের ফোন আসছে। এসব ফোন পাওয়ার পর আমাদের দুটি টিম বিভিন্ন জায়গায় লিকেজের বিষয়টি দেখতে পায়। আমাদের টিম প্রাথমিকভাবে জানতে পারে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে বিভিন্ন জায়গায় লিকেজ হচ্ছে। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঢাকা শহরের ফায়ার সার্ভিসের সবগুলো ইউনিট।
এদিকে গ্যাস লিকেজ নিয়ে ফেসবুকে অনেকে বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছেন। অনেকে পোস্ট দিয়ে লিখছেন, তাদের এলাকায় গ্যাসের গন্ধে থাকা যাচ্ছে না। প্রচুর পরিমাণে গ্যাস লিকেজ হচ্ছে এবং তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিংও করা হচ্ছে। আতঙ্কিত মানুষ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ও ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে সহযোগিতা চাচ্ছেন।
তিতাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঈদে শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায়, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাওয়ায় (ওভার-ফ্লো) গন্ধ বাইরে আসছে। তিতাসের জরুরি ও টেকনিক্যাল টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
এছাড়া ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রাত ১২টা ৮ মিনিটে দেওয়া এক পোস্টে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ লিখেছেন, ‘ঢাকার বেশ কয়েকটি জায়গাতে গ্যাসের গন্ধ পাবার খবরে নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। ঢাকার গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’