৭ বছরের প্রেমের সম্পর্ক, তারপর পারিবারিকভাবে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের ৪৯ দিনের মাথায় গৃহবধূ কলেজছাত্রী শান্তা ইসলামের (২২) মৃত্যু। এনিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এটা কি হত্যা, না কি আত্মহত্যা? তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভাকুড়ী গ্রামে। এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শান্তা ইসলাম গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী। তার স্বামী রিয়াজুল ইসলাম মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা পল্লী বিদ্যুতে চাকরি করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ৭ বছর আগে মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভাকুড়ী গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে রিয়াজুল ইসলামের সাথে একই উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ওহিদ ফকিরের মেয়ে শান্তা ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এসময় শান্ত ইসলাম অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। দীর্ঘ ৭ বছর প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শান্তা ভাকুড়ী গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) রিয়াজুল ছুটিতে বাড়িতে আসেন। ওই দিনই ইফতারি করার পর শান্তা গলায় ফাঁস দেয় বলে স্বামী রিয়াজুল তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের মোবাইল ফোনে জানান।
শান্তাকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শান্তার বাবা ওহিদ ফকির অভিযোগ করে বলেন, শান্তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এ ব্যাপারে শান্তার স্বামী রিয়াজুল ইসলামের মুঠোফোনে বার বার ফোন করলেও বন্ধ পাওয়া যায়। যে কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুকসুদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজিব জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে এটা আত্মহত্যা না হত্যা। তারপর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।