টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে শততম উইকেট নেওয়ার অনন্য মাইলফলকে মোস্তাফিজুর রহমান। মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের ৮১তম ম্যাচ খেলতে নেমে উইকেটের সেঞ্চুরি করেছেন। ইংলিশ ওপেনার ডেভিড মালানকে ফিরিয়ে বাঁহাতি পেসার নিজের শততম উইকেট পেয়েছেন।
উইকেট সংখ্যায় মোস্তাফিজের চেয়ে এগিয়ে আছেন লাসিথ মালিঙ্গা (১০৭), ইশ শোধি (১১৪), রশিদ খান (১২৬), সাকিব আল হাসান (১৩০) ও টিম সাউদি (১৩৪)।
২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু মোস্তাফিজের। সাতক্ষীরার তরুণ পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচে নেন শহীদ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাফিজের উইকেট।
এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মোস্তাফিজ হয়ে উঠেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টারবয়। নানা উত্থান-পতন, নানা অলি-গলি মোড় ঘুরে মোস্তাফিজ এখন বাংলাদেশের বোলিংয়ের অন্যতম বড় শক্তি। তার স্লোয়ার ও দুর্বোধ্য কাটার ব্যাটসম্যানদের জন্য ক্রমেই হয়ে উঠে ভয়ের কারণ।
টি-টোয়েন্টি মোস্তাফিজের সবচেয়ে পছন্দের ফরম্যাট। এই ফরম্যাটেই এবার নতুন কীর্তি গড়লেন। ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার ম্যাচে অতিথিদের প্রতিরোধ ভাঙে মোস্তাফিজের বলে।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ইংল্যান্ড মালান ও বাটলারের ব্যাটে জয়ের পথে ছিল। ১৩ ওভারে তাদের রান এক’শ ছুঁয়ে ফেলেন। মোস্তাফিজ নিজের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম বলে এসে মালানকে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করান। প্রতিরোধ ভাঙার পর ইংল্যান্ড আর ম্যাচে ফেরেনি।
মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ১৪ রানে ১ উইকেট নিয়ে দলকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
যেভাবে মোস্তাফিজের এক’শ:
প্রথম উইকেট- শহীদ আফ্রিদি
পঞ্চাশ উইকেট- কাইল জার্ভিস
একশ উইকেট- ভেভিড মালান।
ম্যাচ:
প্রথম উইকেট- প্রথম ইনিংস
পঞ্চাশ উইকেট- ৩৩তম ইনিংস
একশ উইকেট- ৮০ ইনিংস।
সেরা বোলিং:
২২ রানে ৫ উইকেট, প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড।
সবচেয়ে বেশি উইকেট:
জিম্বাবুয়ে (২৪)।
কোথায় কত উইকেট:
হোম (৪৯)
অ্যাওয়ে (২৮)
নিরপেক্ষ (২৩)।