দ্রুততম তিন’শ উইকেট, মুরালিধরনের পর সাকিব

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

ষষ্ঠ স্পিনার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে তিন’শ উইকেট নেওয়ার অনন্য মাইলফলক ছুঁয়েছেন সাকিব আল হাসান। স্পিনারদের মধ্যে দ্রুততম হিসেবে বাংলাদেশের সুপারস্টার রয়েছেন দুই নম্বরে।

সোমবার চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে সাকিব তিন’শ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। ক্যারিয়ারের ২২৭তম ওয়ানডে খেলতে নেমে এ অর্জনের তালিকায় নাম লিখালেন সাকিব। শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন ২০২ ম্যাচে পেয়েছিলেন তিন’শ উইকেট।

এছাড়া ভারতের অনিল কুম্বলে ২৩৪ ম্যাচে, নিউ জিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টরি ২৯১ ম্যাচে, পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি ৩১৪ ম্যাচে এবং শ্রীলঙ্কান সনাৎ জয়াসুরিয়া ৩৯৭ ম্যাচে তিন’শ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন।

ওয়ানডে ক্রিকেটে সাকিবের পথচলা শুরু ২০০৬ সালে হারারেতে। নিজের অভিষেক ম্যাচে ১০ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে পেয়েছিলেন এলটন চিগম্বুরার উইকেট। চার বছর পর ২০১০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ডাম্বুলায় নিজের ৮৮ত ম্যাচে পান শততম উইকেট। ব্যাটসম্যান ছিলেন আসাদ শফিক। পরের ৬৮ ম্যাচে সাকিবের উইকেট ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলে। ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আলমার উইকেট নিয়ে দুই’শ উইকেট পান বাঁহাতি অর্থডক্স বোলার।

দুই’শ থেকে তিন’শ উইকেটে পৌঁছতে সাকিবের লাগল ৭১ ম্যাচ। এবার ইংল্যান্ডের অভিষিক্ত ক্রিকেটার রেহান আহমেদের উইকেট নিয়ে তিন’শ উইকেটের চূড়ায় পৌঁছেছেন।

২৯৬ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামে মাঠে নেমেছিলেন সাকিব। নিজের দ্বিতীয় ওভারে পিটার সল্টকে কভারে তালুবন্দি করান এ স্পিনার। পরের ওভারের প্রথম বলে জেসন রয়কে আর্ম বলে করেন বোল্ড।

দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে তৃতীয় ওভারে পেয়ে যান জেমস ভিঞ্চের উইকেট। দারুণ এক ঘূর্ণিতে উইকেট থেকে ব্যাট সরাতে পারেননি ভিঞ্চ। এরপর নিজের নবম ওভারে ফিরে দ্বিতীয় বলে নেন রেহানের উইকেট। ব্যাট হাতে ৭৫ রানের পর বল হাতে তার ৫ উইকেট পাওয়ার সুযোগও প্রায় তৈরি হয়েছিল।

নিজের বোলিংয়ের শেষ বলে আর্চারের এলবিডব্লিউর আবেদন করেছিলেন। অবশ্য পরবর্তীতে রিভিউও নেন। কিন্তু বল সামান্য দূরত্ব দিয়ে স্টাম্প ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। তাতে ৫ উইকেট পাওয়া হয়নি। ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে।

এদিকে রান ও উইকেট মিলিয়ে এলিট অলরাউন্ড ক্লাবে প্রবেশ করেছেন সাকিব। ওয়ানডেতে সাকিবের রান ৬৯৭৬। আজ ৩০০ উইকেটের চূড়ায় উঠলেন। তার চেয়ে কেবল এগিয়ে সনাৎ জয়াসুরিয়া ও শহীদ আফ্রিদি। জয়াসুরিয়ার ৪৪৫ ম্যাচে রান ১৩৪৩০, উইকেট ৩২৩টি। আফ্রিদির ৩৯৮ ম্যাচে রান ৮০৬৪, উইকেট ৩৯৫টি। এরপর সাকিবের স্থান। সাকিবের পর আছেন ওয়াসিম আকরাম (৩৭১৭ রান, ৫০২ উইকেট), শন পোলক (৩৫১৯ রান, ৩৯৩ উইকেট), ড্যানিয়েল ভেট্টরি (২২৫৩ রান, ৩০৫ উইকেট) ও চামিন্দা ভাস (২০২৫ রান ও ৪০০ উইকেট)।