কুয়াকাটা সৈকতে ‘মৎস্যকন্যা’

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বালু দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কাল্পনিক মৎস্যকন্যার ভাস্কর্য। সোমবার সকালে সৈকতের ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন এলাকায় এমন নান্দনিক চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন গাজীপুর থেকে আসা পর্যটক রফিক ও তার বন্ধুরা। এতে স্থানীয় ও পর্যটকদের প্রশংসায় ভাসছেন তারা।

সরেজমিন দেখা যায়, মানুষ এবং মাছের বৈশিষ্ট্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা এ প্রাণীটি দেখতে নারীর মতো। যার কোমর পর্যন্ত সোনালি চুল। শরীরের উপরিভাগ নারীদের মতো। নিচের দিক মাছের মতো লেজযুক্ত। এটি শুধু সৈকতে কিছু বালু সরিয়ে এবং কিছু বালু স্থাপন করে তৈরি করা হয়েছে।

ভাস্কর্যটি দেখতে ভিড় করছেন পর্যটকরা। তারা এ ভাস্কর্যের সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলছেন। তবে সমুুদ্রের জোয়ার এলে পানিতে ভাস্কর্যটি মুছে যাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাই সৈকতে এমন একটি স্থায়ী ভাস্কর্য স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন পর্যটকরা।

মৎস্যকন্যার ভাস্কর্য তৈরি করা পর্যটক রফিক মিয়া বলেন, ‘বন্ধুদের নিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছি। আমাদের আসলে তেমন কোনো প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। তবে আমি মাঝে মধ্যে ময়ুর, আনারসসহ বিভিন্ন ভাস্কর্য তৈরি করেছি। এখানে বালু ও একটি কাঠি ব্যবহার করেই ভাস্কর্যটি তৈরি করেছি।’

বরিশাল থেকে আসা পর্যটক সাইদুর রহমান বলেন, ‘খুব সুন্দর এঁকেছেন তারা। দেখতে অবিকল ইউটিউবে দেখা মৎস্যকন্যা। এমন একটি ভাস্কর্য সৈকতে স্থায়ীভাবে করার দাবি জানাই।’

আরেক পর্যটক মো. আকাশ বলেন, ‘ভিডিওতে দেখেছিলাম মৎস্যকন্যা। আজ বালুতে আঁকা দেখতে পেয়ে ভালোই লাগছে। যারা এ কাজটি করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে কুয়াকাটায় এরকম একটি স্থায়ী মৎস্যকন্যার ভাস্কর্য থাকলে ভালো হতো।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা গুণের মানুষ আসে। এমনই একজন পর্যটক মৎস্যকন্যার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। এটি আসলেই প্রশংসার দাবিদার।