শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রিসার্চ ইনোভেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে: পলক

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তরুণ প্রজন্মকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, রোবটিক্সসহ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে দেশের ৫৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রিসার্চ ইনোভেশন সেন্টার (আরআসি) প্রতিষ্ঠা করা হবে।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ‘ষষ্ঠ ডিআরএমসি-পেট্রোম্যাক্স ইন্টারন্যাশনাল টেক কার্নিভাল-২০২৩’ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। কলেজগুলোর মধ্যে সবার আগে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ইনোভেশন সেন্টার করার ঘোষণাও দেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে এ কলেজে তিনটি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আরেকটি স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। এবার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি বিষয়ে হাতে-কলমে শেখাতে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের সঙ্গে চুক্তি করে এশিয়ায় জাপান ও ভারতের পর বাংলাদেশে একটি সেন্টার ফর ফোর আইআর স্থাপন করা হবে।

কার্নিভালে অংশগ্রহণকারী উদ্ভাবনী প্রকল্প এবং প্রোগ্রামিং ও ওয়েবসাইট ডিসপ্লে, লাইন ফলোয়িং রোবটসহ নানা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের ক্লাবসমূহের প্রধান সমন্বয়ক সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ নূরুন্নবী, আইসিটি বিভাগের প্রভাষক ও কার্নিভালের আহ্বায়ক রাসেল আহমেদ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন।

এর আগে কার্নিভালের প্রকল্পগুলো ঘুরে দেখেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। টেক কার্নিভালে উপস্থাপিত প্রকল্পগুলো নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওয়ারলেস ইলেকট্রিসিটি প্রকল্পে তরুণ উদ্ভাবকেরা আজ আমার সামনে ২২০ ভোল্টেজের দুটি লাইট জ্বালিয়ে দেখালো। হয়তো এমন অসংখ্য উদ্ভাবন বাংলাদেশ থেকে আসবে। গুগল, ফেসবুক, চ্যাটজিপিটি শুধুমাত্র সিলিকন ভ্যালি থেকে আসবে না, ২০৪১ সাল নাগাদ এই ইন্টারন্যাশনাল টেক কার্নিভালের উদ্ভাবকরা প্রযুক্তি বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে।

কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—কলেজের ক্লাবসমূহের প্রধান সমন্বয়ক সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ নূরুন্নবী, আইসিটি বিভাগের প্রভাষক এবং কার্নিভালের আহ্বায়ক রাসেল আহমেদ।

উল্লেখ্য, স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করা এবং ২০৪১ সালের রূপকল্প বাস্তবায়নে নবীনদের উৎসাহিত করতে এই তিন দিনব্যাপী টেক কার্নিভালের আয়োজন করা হয়।

তারহীন বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটসহ নানা উদ্ভাবন নিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আজ শেষ হলো তিন দিনের ডিআরএমসি এ টেক কার্নিভাল।

৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এ কার্নিভালে ইনোভেশন প্রজেক্ট ডিসপ্লে, প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, ওয়েবসাইট ডিসপ্লে, লাইন ফলোয়িং রোবট, লোগো ডিজাইন, টেক আর্টিকেল রাইটিং, ইত্যাদি ইভেন্টে দেশের ও অনলাইনে দেশের বাইরের চার শতাধিক খ্যাতনামা স্কুল, কলেজ ও বিশ্বদ্যালয়ের পাঁচ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।