ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় কূটনীতিক ছিলেন ভগবান কৃষ্ণ ও হনুমান… যদি আমরা হনুমানের দিকে তাকাই, তিনি কূটনীতি ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন, তিনি মিশনের আগে গিয়েছিলেন, সীতার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন এবং লঙ্কায়ও আগুন লাগিয়েছিলেন।
শনিবার পুনেতে নিজের বই ‘দ্য ইন্ডিয়া ওয়ে: স্ট্র্যাটেজিস ফর অ্যান আনসারটেন ওয়ার্ল্ড’ প্রকাশ উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেছেন।
জয়শঙ্কর কূটনীতি ব্যাখ্যা করার সময় মহাভারত ও রামায়ণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।কৌশলগত ধৈর্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি শিশুপালকে কৃষ্ণের ক্ষমা করার উদাহরণ দিয়েছেন। কৃষ্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি শিশুপালের ১০০টি ভুল ক্ষমা করবেন, কিন্তু ১০০টি ভুলের শেষে তিনি তাকে হত্যা করবেন।
কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন সম্পর্কে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এটি হচ্ছে একটি রাষ্ট্রের নিজস্ব জাতীয় স্বার্থ এবং পছন্দের বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করার ক্ষমতা, যা অন্য রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ভারত তার স্বাধীনতার পর থেকেই কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের নীতি অনুসরণ করেছে। এই কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন কোনো বিচ্ছিন্নতা বা জোট নয়। ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তার পরিবেশ অনুযায়ী একে পুনঃনির্মাণ করতে হবে।