স্টাফ রিপোর্টার : একজন প্রতিথযশা শিক্ষাগুরু,সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ,বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দৈনিক শাহনামার সাহিত্য সম্পাদক অধ্যাপক লুৎফ এ আলমের ইন্তেকাল। (ইন্নালিল্লাহে ও ওইন্নাইলাইহে রাজেউন) ।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬ জানুয়ারী দিনগত রাত ২ টা ত্রিশ মিনিটের সময় মৃত্যু বরন করেন। তিনি হঠাৎ করে ১৩ জানুয়ারী স্ট্রোক করেন।
তিনি মৃত্যুকালে এক স্ত্রী,এক ছেলে, এক মেয়ে, অসংখ্য আত্মীয় স্বজনসহ অনেক গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
অধ্যাপক লুৎফ এ আলমের নামাজে জানাযা বরিশালের চৌমাথা মার্কাস মসজিদে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠী জেলার কাঠালিয়ার শৌজালিয়া গ্রামে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
অধ্যাপক লুৎফ এ আলম বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রচুর লেখালেখি করে গেছেন। এক কথায় তিনি ছিলেন কলমিষ্ট, শিক্ষাজাতীয়করনের আন্দোলনে তিনি ছিলেন রাজপথের বীর সেনানি,বাকশিস বরিশাল বিভাগিয় কমিটির তিনি ছিলেন সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক, অমৃতলাল মহাবিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন , বাংলা শব্দ উচ্চারন ও বাংলা ব্যাকারনের এক অন্যান প্রতিভিবান শিক্ষক ছিলেন লুৎফে আলম। অধ্যাপক লুৎফে আলম সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রিত শিক্ষ হিসেবে শিক্ষাদান করে গেছেন। তিনি বরিশালের উন্নয়ন ও সামাজিক আনন্দোলনের সামনে সারির নেতা ছিলেন। শিক্ষাবিদ,সাহিত্যিক,সাংবাদিক,বহুগুনে গুনানিত অধ্যাপক লুৎফ এ আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবার পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে বাকশিস বরিশাল বিভাগিয় পরিবার।মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দৈনিক শাহনামার সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি কবি এ কে জয়নুল আবেদীন ফাউন্ডেশনের আহবায়ক ,এফ এফ এল বিডি ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা।
বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের শোক
দৈনিক শাহনামার সাহিত্য সম্পাদক ও বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সদস্য লুৎফ এ আলমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
এক শোক বার্তায় অধ্যাপক লুৎফ এ আলমের আত্মার শান্তি কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ ও সম্পাদক খলিলুর রহমানসহ সকল সদস্যবৃন্দ।
দৈনিক শাহনামার শোক
দৈনিক শাহনামার সাহিত্য সম্পাদক ও বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সদস্য লুৎফ এ আলমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দৈনিক শাহনামা পরিবার।
এক শোক বার্তায় অধ্যাপক লুৎফ এ আলমের আত্মার শান্তি কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন দৈনিক শাহনামার সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী আবুল কালাম আজাদ,সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি শাহ সাজেদা,প্রধান বার্তা সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানী,সাংবাদিক মোকলেসুর রহমান মনি,বিপ্লব আহমেদ,সুমন,আবু সুফিয়ানসহ সকল সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
সাংবাদিকসহ ৬ জনের মৃত্যুতে
সেভ দ্য রোডের শোক
শরীয়তপুরের জাজিরায় ঢাকা–ভাঙ্গা মহাসড়কে সড়কপথ দুর্ঘটনায় সাংবাদিক মাসুদ রানাসহ ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে সেভ দ্য রোড।
আকাশ–সড়ক– রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত করার জন্য নিবেদিত দেশের একমাত্র সচেতনতা–গবেষণা ও স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোড–এর চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, লায়ন ইমাম হোসেন, জিয়াউর রহমান জিয়া, বরিশাল শাখা সেভ দ্য রোড–এর সমন্বয়ক মামুনুর রশীদ নোমানী প্রমুখ এক শোক বিবৃতে আরো বলেন, প্রতিদিন নিয়ম না মেনে পথে বাহন চালানোর কারণে একের পর এক দুর্ঘটনা বেড়ে চলছে। একই সাথে সংশ্লিষ্ট আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহবান জানাচ্ছি– প্রতিটি দূরপাল্লার বাহন, এ্যাম্বুলেন্স চালকের ডোপ টেস্ট প্রতিদিন করার উদ্যোগ গ্রহণ করুন। তা না হলে এমন দুর্ঘটনা আরো বৃদ্ধি হতে পারে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্য দৈনিক নবচেতনার বরিশাল প্রতিনিধি মাসুদ রানা, বেলব্যান ফিজিওথেরাপীর থেরাপিস্ট রাব্বি ও লিমা নামে একজন নারীসহ ৬ জন রয়েছেন। পুলিশ জানায়, অ্যাম্বুলেন্সটি বরিশাল থেকে রোগী ও স্বজনদের নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে জাজিরায় পদ্মা সেতু টোলপ্লাজার কাছে গতিনিরোধক পার হতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এসময় অ্যাম্বুলেন্সটি একটি ট্রাকের পেছনে ঢুকে দুমড়ে–মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সের ছয় যাত্রী নিহত হন। পদ্মা দক্ষিণ থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) সুরুজ মিয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি ট্রাকের পেছনে ঢুকে দুমড়ে–মুচড়ে যায়।