জিএসপি প্লাস সুবিধার জন্য ফ্রান্সের সহায়তা চেয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশে ফ্রান্সের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী মারি মাসদুপুয়কে বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের জন্য অভিনন্দন জানান।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দুই দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তার সময়ে আরও শক্তিশালী হবে।
প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে একটি উন্নয়ন সহায়তাপ্রাপ্ত দেশ থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এবং বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে বাংলাদেশের যাত্রার বর্ণনা দেন। ফরাসি রাষ্ট্রদূত তার ধারণা ভাগ করে নিয়ে জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা অত্যন্ত স্পষ্ট।
বাংলাদেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এভরিথিং-বাট-আর্মস (ইবিএ) স্কিমের সাফল্যের গল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এ বিষয়ে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ফ্রান্স ইইউর নতুন জিএসপি রেগুলেশনের অধীনে ২০২৯ সালের পরেও জিএসপি প্লাস সুবিধার জন্য বাংলাদেশকে সমর্থন করবে।
বৈঠকে উভয়ে কানেক্টিভিটি, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ শক্তি প্রযুক্তি, বিমান চলাচল ইত্যাদির দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, ইউক্রেনের যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বৈশ্বিক খাদ্য, এনার্জি এবং আর্থিক চ্যালেঞ্জের বিষয়েও মতবিনিময় করেন।
প্রতিমন্ত্রী তার বাংলাদেশে থাকাকালে মেরি মাসদুপুয়কে পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।