কলকাতার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। ২০০৩ সালে পরিচালক রাজীবকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের ঘর আলো করে আসে পুত্রসন্তান অভিমন্যু। পরবর্তীতে রাজীবের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় তার। এরপর এ অভিনেত্রী বিয়ে করেন প্রেমিক কৃষাণ ভিরাজকে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে শ্রাবন্তী ও কৃষাণের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়।
২০১৭ সালের আগস্টের দিকে দ্বিতীয় সংসারেও ভাঙনের সুর বেজে উঠে। ২০১৭ সালের শেষের দিকে বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানান শ্রাবন্তী। ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল অনেকটা গোপনে প্রেমিক রোশান সিংয়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন। ভারতের চণ্ডীগড়ে পাঞ্জাবি রীতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সেখান থেকে ফিরে চুপচাপ শুটিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু তার গোপন বিয়ে নিয়ে রচিত হতে থাকে লুকোচুরি গল্প।
তৃতীয় সংসারও ভালোবেসে বাঁধলেও এখন আর একসঙ্গে থাকছেন না রোশান-শ্রাবন্তী। তাও দীর্ঘ দিন কেটে গেছে। বিয়েবিচ্ছেদের মামলাও দায়ের করেছেন শ্রাবন্তী। রোশান এ সংসার টিকিয়ে রাখতে চাইলেও নারাজ শ্রাবন্তী। বলা যায়, এ সংসারও ভেঙে গেছে। বাকি কেবল আনুষ্ঠানিকতা। এ পরিস্থিতে অনেক চলচ্চিত্র সমালোচকেরই মন্তব্য— ‘ব্যক্তিগত জীবনে শ্রাবন্তী বিয়ে বিয়ে খেলা ভালোই খেলেছেন’।
প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে দারুণ সমালোচিত হয়েছেন শ্রাবন্তী। নানাজন নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। শ্রাবন্তীর প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদের এমন সিদ্ধান্তকে কীভাবে দেখেন তার বাবা-মা? ভারতীয় একটি টিভি রিয়েলিটি শোয়ে এ বিষয়ে মন্তব্য করেন শ্রাবন্তীর বাবা-মা।
সন্তানের জীবনে ঝড় এলে তার মা-বাবা কি বসে থাকবেন? সন্তান ভুল পদক্ষেপ নিলেও তারা কি চুপ থাকেন? উত্তর— কখনই না। শ্রাবন্তীর মা-বাবার ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। মাত্র ১৬ বছর বয়েসে রাজীবকে বিয়ে করার পর একটি শাস্তি দিয়েছিলেন শ্রাবন্তীর বাবা-মা। তাদের ভাষায়— ‘আমরা মেয়ের (শ্রাবন্তী) সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ওটাই ওর জীবনের বড় শাস্তি।’