বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ বুধবার দিবাগত রাতে মরোক্কোর মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। এই ম্যাচে ফ্রান্স ফেভারিট হলেও মরোক্কোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তাছাড়া কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারানোর পর প্যারিসে মিছিল করেছিল মরোক্কোর সমর্থকরা। এর পরপরই ইংল্যান্ডকে হারানোর পর ফ্রান্সের সমর্থকরাও মিছিল করেছিল। একটা পর্যায়ে ফ্রান্স ও মরোক্কোর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ থামাতে গেলে সেটা রূপ নেয় ত্রিমুখী সংঘর্ষে।
এবার যেহেতু ফ্রান্স আর মরোক্কো মুখোমুখী সেহেতু বড় রকমের দাঙ্গা বাঁধতে পারে। তাই রাজধানী প্যারিসে দাঙ্গা সামলানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে পুলিশ।
দেশব্যাপী ১০ হাজার পুলিশ নিয়মিত টহল দিবে। ৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে রাজধানীর ইলে-ডি-ফ্রান্সে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে আরও ২ হাজার ২০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি রাজধানীসহ সারা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের মরোক্কান বন্ধুরা এবং ফ্রান্সের সমর্থকরা চাইলে পার্টি আয়োজন করতে পারবে। তাদের পার্টি করা থেকে বিরত রাখা আমাদের কাজ নয়। তবে তাদের এই কাজটি করতে হবে যথাযথ নিরাপত্তার মধ্যে থেকে।’
মরোক্কো এক সময় ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। সে কারণে ফ্রান্সের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর মরোক্কান প্রবাসী রয়েছে। যাদের অধিকাংশ মূলত প্যারিস এবং ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল অঞ্চলের চারপাশে বসবাস করে। বর্তমানে ফ্রান্সে ১ মিলিয়ন ফ্রাঙ্কো-মরোক্কান এবং মরোক্কান প্রবাসী বাস করেন।
প্যারিসের ৭০ মিটার প্রশস্থ চ্যাম্পস-এলিসিস এভিনিউ হলো যেকোনো ক্রীড়া উৎসবের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রাঙ্গন। ফ্রান্সের যেকোনো ক্রীড়া উদযাপন এখানে হয় ঘটা করে। এটা কখনো বন্ধ থাকে না। কিন্তু ঝামেলা এড়াতে রোববার চ্যাম্পস-এলিসিস এভিনিউ বন্ধ থাকতে পারে।
এর আগে বেলজিয়াম গ্রুপপর্বের ম্যাচে মরোক্কোর কাছে হারার পর রাজধানী ব্রাসেলসে দাঙ্গা হয়েছিল।
আজকে ফ্রান্স কিংবা মরোক্কো যে-ই জিতুক প্যারিসসহ গোটা ফ্রান্সের পরিবেশ গরম হতে পারে। কারণ, এখানে যে প্রচুর মরোক্কান বাস করেন। তাই সেমিফাইনালে ফ্রান্স জিতে গেলে তারা ঝামেলা করতে পারে। আবার মরোক্কো জিতে গেলে ফ্রান্সের সমর্থকরা ঝামেলা করতে পারে। সে কারণেই সম্ভাব্য দাঙ্গার শঙ্কায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ফ্রান্সের পুলিশ।