মিরাজ-মাহমুদউল্লাহর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ২০০

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতের মুখোমুখি  বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ: ২০৩/৬ (৪৫ ওভার) 

 

৪৪.৩ ওভারে বাংলাদেশ ২০০ রান পূর্ণ করে। অথচ শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় শংকা ছিল দ্রুত অলআউটের। ভারতের বিপক্ষে রেকর্ড জুটি গড়ে মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ ২০০ পার করেন।

স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে মিরাজ-মাহমুদউল্লাহর ফিফটি

স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে মিরাজ-মাহমুদউল্লাহর ফিফটি। দুজন যখন ব্যাটিং শুরু করেন বাংলাদেশ ছিল বিপদে। ৬৯ রানে নেই ৫ উইকেট। সেখানে থেকে ধীরে খেলে এখন শাসন করছেন দুজনে। প্রথমে মিরাজ ফিফটি করেন এরপর তারই পথে শামিল হন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ৪টি চারের মারে ৭৪ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। দুজনের জুটি ইতিমধ্যে শতরান পেরিয়েছে। ১২৭ বলে ১০০ রানের জুটি গড়েন তারা। ভারতের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে এটি সর্বোচ্চ জুটি।

 

মিরাজের ফিফটিতে দেড়’শ পেরিয়ে বাংলাদেশ

বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ দলকে আজও টেনে তুললেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে দারুণ সঙ্গে দিচ্ছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সপ্তম উইকেটে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন তারা। ফিফটির দেখা পেয়েছেন মিরাজ। তার ৫৩ ও মাহদুউল্লাহর ৪৭ রানের ইনিংসে ভর করে এগোচ্ছে বাংলাদেশের ইনিংস।

প্রতিরোধ গড়লেন মাহমুদউল্লাহ-মিরাজ:

 

৬৯ রানের ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া বাংলাদেশ দলকে টানছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সপ্তম উইকেটে এই জুটি ৮০ রান তুলে দারুণ প্রতিরোধ গড়েছে। তাতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দেড়’শ কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

মাহমুদউল্লাহ-মিরাজে  শতরান পেরিয়ে বাংলাদেশ:

দলীয় ৬৯ রানের মাথায় পর পর দুই বলে আউট হন মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। সেখান থেকে জুটি বাঁধেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এই জুটিতে ভর করে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শতরান পেরিয়েছে। এই জুটি ইতোমধ্যে ৫৫ রান তুলেছে। মিরাজ ৩১ ও মাহমুদউল্লাহ ২৬ রানে ব্যাট করছেন।

 

পরপর ২ বলে আউট মুশফিক-আফিফ, বিপদে বাংলাদেশ:

ওয়াশিংটন সুন্দরের পরপর ২ বলে আউট মুশফিক-আফিফ। এর আগের ওভারেই তিনি আউট করেন সাকিবকে। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ। মুশফিক দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি। এক ওভার আগেই আউট হয়েছিলেন সাকিব। সুন্দরের বল সামনে এসে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন মুশফিকে। বল গ্লাভসে লেগে যায় ধাওয়ানের হাতে। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেয় ভারত। ২৪ বলে ১২ রান করেন মুশফিক। পরের বলেই আফিফ বোল্ড। আর্ম বলে পরাস্ত হন বাঁহাতি আফিফ। প্রথম বলেই শূন্য রানে ফেরেন তিনি।

ফিরলেন সাকিব

ওয়াশিংটন সুন্দরের বল স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করেন সাকিব আল হাসান। বল উঠে যায় উইকেটের পেছনে। সহজ ক্যাচ ধরতে গিয়েও ভুল করে বসেন শিখর ধাওয়ান। হাত ফসকে প্রায় পড়েই যাচ্ছিল, তবে শেষ পর্যন্ত মাতিতে পড়েনি। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ৮ রান। বাংলাদেশ ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক।

শান্তর স্টাম্প ওড়ালেন উমরান

গতিতে বেশ ভোগাচ্ছেন উমরান মালিক। সাকিব আল হাসানের হেলমেটে লাগে, পাঁজরে লাগে, তবে উইকেট দেননি। সাকিব পারলেও নাজমুল হোসেন শান্ত পারেননি। ১৫১ কিলোমিটার গতিতে আসা উমরানের বল শান্তর অফ স্টাম্প উপড়ে ফেলে। লিটনের পর সাকিবের সঙ্গে জুটি গড়ে ভালো ইনিংসের সম্ভাবনা দেখাচ্ছিলেন শান্ত। ২১ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। তার ৩৫ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩ চারের মারে।

৭ রানে বোল্ড লিটন

এনামুলের পর লিটনকে ফেরালেন মোহাম্মদ সিরাজ। এবার সরাসরি বোল্ড! বল পড়েই নিচু হয়ে ঢুকে। ভেঙে দেয় স্ট্যাম্প। লিটন আউট হলেন ২৩ বলে ৭ রান করে। এনামুলের আউটের পর শান্তর সঙ্গে জুটি গড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৫ রান। শান্তর সঙ্গে ক্রিজে এখন সাকিব।

 

লিটন-শান্তর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় বাংলাদেশ

লিটন-শান্তর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে উইকেট হারানোর পর দুজনে জুটি গড়েন। ধীরে খেলে ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছেন দুজনে। দুজনের জুটি থেকে ইতিমধ্যে ২৩ রান আসে।

জীবন পেয়ে পরের বলেই আউট এনামুল

দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে এনামুল হক বিজয়ের ক্যাচ মিস করেন রোহিত শর্মা। পরের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন। এর আগের ম্যাচেও জীবন পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি এনামুল। মোহাম্মদ সিরাজের আউটসাইড অফের বল খোঁচা দিয়ে বসেছিলেন এনামুল। স্লিপে থাকা রোহিত সহজ ক্যাচ ফেলে দেন। পরের বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি। পায়ে লাগলে আবেদনের সঙ্গেই সাড়া দেন আম্পায়ার। বাংলাদেশ রিভিউ নেয়, কিন্তু লাভ হয়নি। শুরুতে উইকেটের সঙ্গে রিভিউও হারালো স্বাগতিক শিবির। এনামুলের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১১ রান। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত।

 

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

টানা দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। বাংলাদেশ নেমেছে একাদশে এক পরিবর্তন নিয়ে। পেসার হাসান মাহমুদের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন নাসুম আহমেদ।

বাংলাদেশ একাদশ:

লিটন দাস (অধিনায়ক), এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ ও এবাদত হোসেন।

ভারত একাদশ:

রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, ভিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল (সহ অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), ওয়াশিংটন সুন্দর, আক্সার প্যাটেল, শারদুল ঠাকুর, দীপক চাহার, মোহাম্মদ সিরাজ ও উমরান মালিক।

 

আশাবাদী ডমিঙ্গো

সিরিজ জয়ে আশাবাদী ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমাদের দল এই সংস্করণে আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু এটা কঠিন নয়। তারা শক্তিশালীভাবে (ভারত) ফিরবে। আমাদের প্রথম ম্যাচ থেকে অনেক ভালো খেলতে হবে। আমরা আমাদের স্নায়ু ঠিক রাখতে পারলেই এই বাধা পেরোতে পারব।’

ভারত ছেড়ে দেবে না সহজে

এদিকে ভারত ছেড়ে দেবে না সহজে। বাঁহাতি ওপেনার শিখর ধাওয়ান যেন দিয়ে রাখলেন প্রচ্ছন্ন হুমকিও, ‘আগামীকালের (আজকের) খেলা নিয়ে আমরা দারুণ আত্মবিশ্বাসী। প্রথম ম্যাচে হারা এটা আমাদের জন্য প্রথম কোনো ঘটনা নয়। এটা কিছুটা স্বাভাবিক। আমরা জানি কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। বাংলাদেশ অবশ্যই ভালো খেলছে, তবে যদি শেষ ম্যাচটা দেখেন এটা ছিল মজার।’

পাখির চোখ সিরিজে

শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জিতে সিরিজে এগিয়ে আছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এবার পালা ১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলার। লিটন দাসের দল সেদিকেই পাখির চোখ করে ভারতের বিপক্ষে নেমেছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। ভারতের সবশেষ সফরে ২০১৫ সালে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। ৭ বছর পর লিটন দাসের দলের সামনে আবারও সেই সূবর্ণ সুযোগ। অন্তত রেকর্ড বলছে তাই। ৩১ বার মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশ জিতেছে ৬ বার, তার মধ্যে ৫ বারই জয় দেশের মাটিতে। লিটন-সাকিবরা কি পারবেন সিরিজ নিজেদের পকেটে পুরতে?