❤️🇧🇩🇧🇷🇧🇩 ভালোবাসি ব্রাজিলকে🇧🇷🇧🇩পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খানের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নিজ এলাকা দশমিনা নলখোলা খানকা মাঠে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। ২৪ দিন আগে আওয়ামী লীগের হামলায় আহত শাহজাহান খান। তারই জেরে গতকাল সকাল ১০টার দিকে মারা গেলেন তিনি।
জেলা বিএনপি নেতারা বলেছেন, ২৪ দিন আগে তিনি সরকারদলীয় লোকজনের হামলায় আহত হয়েছিলেন। শাহজাহান খান পটুয়াখালী জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর সদস্য। ব্যবসায়ী শাহজাহান দীর্ঘদিন পটুয়াখালী রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের
সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
শাহজাহান খানের ছেলে শিপলু খান জানান, গত ৫ নভেম্বর ছিল বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ। ৪ নভেম্বর রাতে তিনি মোটরসাইকেলে করে নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশস্থলে যাচ্ছিলেন। পথে পটুয়াখালীর গাবুয়া এলাকায় পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কে রাত ৯টার দিকে শাহজাহান খান এবং তার সাথে থাকা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। তখন তিনি এবং
তাকে বহনকারী মোটরসাইকেলচালক সাইদুল আহত হন।
শিপলু আরো জানান, ওই হামলায় ইসাহাক ও শাহ আলম নামের দুই কর্মীও আহত হন। তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। হামলার পর শাহজাহান খান পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার দুটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। দুই দিন ধরে তিনি ধানমণ্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মজিবুর রহমার টোটন জানান, সোমবার বাদ জোহর ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শাহজাহান খানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পটুয়াখালী বড় মসজিদ মাঠে, সকাল ১১টায়
দশমিনা নলখোলা খানকা মাঠে ও বাদ জোহর গলাচিপা পৌর শহরে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার নিজ গ্রাম চিকনিকান্দিতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।