উত্তরাঞ্চলের তেঁতুলিয়ায় বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ডের একদিন পর মঙ্গলবার দেশজুড়ে শীতের প্রকোপ সামান্য কমেছে।
চলমান এই শৈত্যপ্রবাহ আরো পাঁচদিন অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অফিসের এক বার্তায় বলা হয়, আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং পশ্চিমাঞ্চলের গোপালগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়া আর দক্ষিণ-পশ্চিমের সাতক্ষীরার ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের বার্তা অনুযায়ী, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা ও বরিশাল, ময়মনসিংহের উত্তরাঞ্চল ও ঢাকা বিভাগের অংশবিশেষ এবং শ্রীমঙ্গল, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলে ‘মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ’ বয়ে যাচ্ছে।
পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায়, হিমালয়ের পাদদেশে ইতিহাসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের একদিন পর মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চল দিনাজপুরে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ, টাঙ্গাইলের উত্তরাঞ্চল, শ্রীমঙ্গলের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও চুয়াডাঙ্গার পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব অঞ্চলে চলমান শীতের প্রকোপ আরো একদিন ১০ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
কিন্তু আবহাওয়া অফিসের একজন মুখপাত্র বলেন, শীতের তীব্রতা থেকে মুক্তি ও তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে আরো পাঁচদিন সময় লাগবে।
এ সময়ে দেশের উত্তরাংশে এবং নদী তীরবর্তী এলাকাসহ দেশের সর্বত্র রাতে ঘন ও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে, যা অনির্দিষ্টকালের জন্য অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়, এ সময়ে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এতে বলা হয়, ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কিন্তু এই সময়ের পর সারা দেশে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
সোমবার দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল টেকনাফে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল হিমালয় সংলগ্ন তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড সৃষ্টি হয়।