ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার এস.আই আনিচসহ আরো ৪ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। ক্লোজড হওয়া অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন- কনস্টেবল গাফ্ফার, আসাদ ও এমরান। এ নিয়ে গত দু’দিনে মহেশপুর থানার দুই এসআইসহ মোট ৮ জনকে ক্লোজড করা হলো। ফলে মহেশপুর থানা পুলিশের মধ্যে অজানা আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, কর্তব্য পালনে অবহেলা করায় তাদেরকে ক্লোজড করা হয়েছে। কিন্তু পরপর ৮ পুলিশ ক্লোজড হওয়ায় নতুন করে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ কি ঘটনা ঘটবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা রহস্য।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মহেশপুরের পুরন্দপুর নামক স্থানে সোনারতরী পরিবহনে পুলিশ পরিচয়ে একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গত ৭ই জানুয়ারী মহেশপুর থানার এসআই আনিচ বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় একটি ডাকাতি মামলা করে। যার নং-১০। একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, ওইদিন বাস থেকে একটি সোনার চালান গায়েব করা হয়। সোনার মালিকপক্ষ বিভিন্ন জায়গায় তদবির করলে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী তদন্তে নামে। গত ৮জানুয়ারী এসআই নাজমুল সহ ৪জনকে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। এই ৪ জনকে মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এসআই আনিচের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদেরকে কেন বা কি কারণে ক্লোজড করা হয়েছে তা আমরা কিছুই জানি না। মহেশপুর থানার ওসি(তদন্ত) ফারুক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এসপি অফিসের নির্দেশনায় আরো ৪ জনকে ক্লোজড করা হয়েছে।