২০১৫ সালে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালিয়ে স্ত্রী হত্যা মামলায় সুমন মুন্সী নামে এক আসামিকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
এ মামলার ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ এবং আসামির আপিল খারিজ করে রোববার (২৩ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরো। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম নুরুল ইসলাম শামীম।
২০১৩ সালে বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন ডিঙামানিক এলাকার আনিস হাওলাদারের মেয়ে সাথীর সঙ্গে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আবুল মুন্সীর ছেলে সুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ১৫ হাজার টাকার জন্য সাথীর ওপর নির্যাতন চালাতেন স্বামী ও তার বাড়ির লোকজন। ২০১৫ সালের ২০ জুন সন্ধ্যায় সাথী তার বাবার বাড়িতে ফোন দিয়ে নির্যাতন চালানোর বিষয়টি বলে দেন। এর জের ধরে সাথীকে পিটিয়ে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন তারা।
হত্যার বিষয়টি বুঝতে পেরে ২১ জুন সাথীর বাবা বাদী হয়ে মেহেন্দীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মেহেন্দীগঞ্জ থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিক হাসান রাসেল তদন্ত শেষে একই বছরের ২৭ নভেম্বর সুমন মুন্সীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ আবু তাহের স্ত্রী হত্যার দায়ে সুমন মুন্সীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এই রায় দিলেন হাইকোর্ট।