লক্ষ্মীপুরে বসতঘরে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ জোসনা বেগম (৪০) মারা গেছেন। বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে তার ছেলে রুপম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে, গত ১২ অক্টোবর (বুধবার) সদরের উত্তর জয়পুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে জোসনা বেগমের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে আনিকা আক্তার (১৭) মারা যান। পুড়ে ছাই হয়ে যায় তাদের বসতঘর।
এ ঘটনায় নিহত আনিকার চাচা মো. বাচ্চু বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আশরাফ আলী রতন ও ইয়াসিন আরাফাত শুভ। নিহত জোসনা স্থানীয় জোড়বাড়ির প্রবাসী আনোয়ারের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার গভীর রাতে আনোয়ারের বসতঘরে (টিনসেড) দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। এসময় ঘরের ভেতরে আনিকা, তার মা জোসনা ও ছোটভাই রুপম ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
দগ্ধ অবস্থায় জোসনা ও তার ছেলে রুপম ঘর থেকে বের হলেও অন্তঃসত্ত্বা আনিকা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। স্থানীয়রা মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ জোসনা বেগমের মৃত্যু হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেনস, ‘দগ্ধ জোসনা বেগম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর আগে, অগ্নিদগ্ধ হয়ে তার মেয়ে আনিকা মারা যান। শিশু রুপম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’