বরিশালে দুর্নীতি মামলায় রূপালী ব্যাংকের ২ সাবেক কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বরিশাল বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মেহেদী আল মাসুদ আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রায় ঘোষণার পর আসামিদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হল, রূপালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার সামসুল রহমান, একই ব্যাংকের প্রিন্সিপ্যাল অফিসার মো. মকবুল হোসেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় এস এম ইউনুসের স্ত্রী জান্নাতুন নেছা নয়ন, একই ব্যাংকের সেকেন্ড অফিসার (সদর রোড শাখার) এ কে এম সামসুল আজাদ বর্তমানে রূপালী ব্যাংক পিরোজপুর ইন্দেরহাট শাখায় কমকর্তা মো. হাবিবুর রহমানকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশিদ জানান, ২০০৩ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০০৬ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের মধ্যে রূপালী ব্যাংক থেকে মেসার্স আনি এন্টারপ্রাইজ এর নামে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে অঙ্গীকার ভঙ্গ করে আসামিদের সহযোগিতায় জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে ২৪ কোটি ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ৪ শত ৩২ টাকা ২৫ পয়সা লোন মঞ্জুর গ্রহন করেন। ঋণের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য আসামিরা প্রতারণা করে ২৪ কোটি ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ৪ শত ৩২ টাকা ২৫ পয়সা আত্মসাত করেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় রূপালী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপক মো. শহীদুল হক বাদী হয়ে ২০০৬ সালের ১৬ মার্চ মামলা দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৬ এপ্রিল আদালতে মামলার চাজর্শীট দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক এ কে এম ফজলুল হক। ১৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত মঙ্গলবার ওই রায় ঘোষণা করেন। এতে আসামি রূপালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার সামসুল রহমানকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ৩ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অপর আসামি একই ব্যাংকের প্রিন্সিপ্যাল অফিসার মো. মকবুল হোসেনকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।