ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পেয়েছেন মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
ওই আদেশে মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে প্রেষণে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তার চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে ন্যস্ত করতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে সই করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
গত জুলাই মাসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থেকে মেজর জেনারেলে পদোন্নতি পান জিয়াউল আহসান। ২১ জুলাই তাকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এনটিএমসির মহাপরিচালকের দায়িত্ব দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। এর আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাবাহিনী প্রধান আমার ওপর আস্থা রাখায় আমি কৃতজ্ঞ। পেশাদারত্বের সঙ্গে ও অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে আমার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবো।
জানা গেছে, এবারই প্রথম এনটিএমসির মহাপরিচালকের পদটি সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পদটিতে প্রথম কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেলেন মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।
ডিজিটাল বাংলাদেশের নিরাপত্তা তথা সারাবিশ্বে সাইবার অপরাধীদের শনাক্ত করা, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে সবধরনের তথ্য-প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে এনটিএমসি।
জিয়াউল আহসান ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার। ২০০৯ সালের ৫ মার্চ র্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক ও একই বছর লে. কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হন তিনি।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান।
পরবর্তীকালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৬ সালের এপ্রিলে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (এনএসআই) পরিচালক হন। পরের বছরের মার্চে তাকে ন্যাশনাল এনটিএমসি পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।