অননুমোদিত হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আবারও অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে গত ২৬ মে একই ধরনের অভিযান চালিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার (২৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘অননুমোদিত হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্লাড ব্যাংক বন্ধে অ্যাকশনে যাচ্ছি আমরা। আবার ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অভিযান শুরু করা হবে। আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত এ অভিযান চালানোর পরিকল্পনা আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন আছে, কিন্তু তারা পরিচালনার সব শর্ত মানছে না; পরিস্থিতির উন্নতির জন্য তাদের তিন মাস সময় দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তিন মাস পার হওয়ার পরও যারা নিয়ম মেনে লাইসেন্স রিনিউ বা নতুন লাইসেন্স নেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই অভিযান চালানো হবে।’
এ অভিযানের বিষয়ে গত বুধবার (২৪ আগস্ট) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সারা দেশের সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের সমন্বয় সভা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডা. আহমেদুল কবির।
তিনি বলেন, ‘আমরা তিন মাস সময় দিয়েছি। এই সুযোগ যারা নেননি এবং এর মধ্যে যারা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেননি বা যারা আবেদন করেও নিবন্ধন পাননি, তারা হাসপাতাল-ক্লিনিক খোলা রাখতে পারবেন না। এছাড়া, অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত কোনো চিকিৎসক কাজ করতে পারবেন না। করলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির জানান, ১ হাজার ৬৪১টি হাসপাতাল বন্ধ হয়েছে। এই অভিযানে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ টাকা। এছাড়া, এই তিন মাসে নতুন নিবন্ধিত হয়েছে ১ হাজার ৪৮৯টি, নবায়ন হয়েছে ২ হাজার ৯৩০টি। নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষমাণ আছে ১ হাজার ৯৪৬টি। লাইসেন্স নবায়নের অপেক্ষায় আছে ২ হাজার ৮৮৭টি হাসপাতাল-ক্লিনিক। নতুন করে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে ২ হাজার হাসপাতাল ও ক্লিনিক।