সমুদ্রের মোহনীয় গর্জন আর বেদিতে বসে কাকড়া ফ্রাইয়ের স্বাদ অনুভব করা মনে রাখার মতো। এছাড়া শেষ বিকেলে সুর্যাস্তের যে অগ্নিঝড়া দৃশ্য অবলোকন করেছি তা কোনোদিন ভুলবো না। আর সৈকত থেকে ছোট ছোট ঝিনুক কুড়িয়ে নিয়েছি বাসায় ফিরে মালা গাঁথবো বলে।
শুক্রবার বিকেলে কথাগুলো বলছিলেন ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটক মিম আক্তার। এর আগে বৃহস্পতিবার পরিবারের সঙ্গে কুয়াকাটায় এসেছেন তিনি। আর কুয়াকাটার সৈকতে সমুদ্রের লোনা জলে পা ভিজিয়ে খুশিতে আত্মহারা মিম।
তিনি জানান, কুয়াকাটার মতো এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আগে কখনো উপভোগ করেননি তিনি। মায়াবি সাগর কন্যা এতোদিন স্বপ্নেই কেবল তাকে হাতছানি দিয়েই ডেকেছে। তবে বাস্তবেই এবার কুয়াকাটায় এসেছেন তিনি এবং তার পরিবার। এর আগে টেলিভিশনে বহুবার কুয়াকাটার দৃশ্য দেখেছেন। কিছুদিন আগে পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর এই প্রথমবার কুয়াকাটায় বেড়ানোর সুযোগ হয়েছে তার।
তিনি আরো বলেন, আগে যাত্রাপথে ভোগান্তি ছিল অনেক, এই ভেবেই হয়তো বাবা আমাদের নিয়ে কুয়াকাটায় আসেননি। আর এখন খুবই অল্প সময়ে মাত্র ৬ ঘণ্টায় কুয়াকাটায় এসেছি। যেন স্বপ্নের মত লাগছে।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে সপ্তাহিক ছুটিতে কুয়াকাটার সৈকতে এসেছেন অনেক পর্যটকরা। তারাও মিমের মত কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিমাহিত হয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন। সমুদ্রের জলে গা ভিজিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে পর্যটকরা এখানে অবকাশ যাপন করছেন। কেউ আবার সৈকতের বেঞ্চে বসেই সমুদ্র ও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। অনেকেই সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে নেচে গেয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আমরা পর্যটকদের সেবার মান নিশ্চিতকল্পে কঠোর ভূমিকা পালন করছি।