পোলট্রি শিল্প রক্ষায় জাতীয় কমিটি গঠন করে প্রতিটি জেলায় তদারকীর দাবি উঠেছে। এই কমিটি মুরগীর বাচ্চা ও খাবারের দামের উপর ভিত্তি করে ডিম এবং মাংসের দাম নির্ধারণ করবে। সেখানে খামারী কত টাকা পাবে, আড়তদার কত টাকা কমিশন পাবে এবং ভোক্তা কত টাকায় ডিম ও মুরগী কিনতে পারবে সেটা নির্ধারণ করে দেবে জাতীয় কমিটি। ডিম বিক্রি নিয়ে আর কোন হয়রানি হতে চান না পোল্ট্রি খামার মালিকরা।
বরিশাল প্রেসক্লাবে রবিবার সকাল ১১টায় পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ বরিশাল বিভাগীয় শাখার এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মো. আব্দুর রহিম গাজী এই দাবী জানান।
তিনি বলেন, ডিমের দাম সম্প্রতি বেড়ে যাওয়ায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার অনবরত অভিযানের মুখে আড়তদার ও দোকানীরা ডিম কিনতে চান না। এতে খারামগুলোতে একটা অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে ডিম সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে পোলট্রি খামারী, পোলট্রি ফিড ও পোলট্রি ওষুধ বিক্রির দোকানগুলো বন্ধের উপক্রম হয়েছে। একটা স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে না পাড়লে দেশের পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে বলে আশংকা করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে রহিম গাজী আরও বলেন, সরকার বিদেশ থেকে ডিম আমদানীর পরিকল্পনা করে দেশীয় পোল্ট্রি শিল্পকে হুমকীর মুখে ফেলেছে। সরকার ডিম আমদানী না করে পোল্ট্রি ফিড আমদানী করলে দেশীয় পোল্ট্রি ফিডের বাজার স্থিতিশীল হবে। তারা বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত একটি কোম্পানীর ফিড ভারতে বিক্রি হয় ১ হাজার ৬শ টাকা এবং পাকিস্তানে বিক্রি হয় দেড় হাজার টাকা। অথচ একই কোম্পানীর পোল্ট্রি ফিড বাংলাদেশে বিক্রি হয় ২ হাজার ৮শ থেকে ২ হাজার ৯শ টাকায়। পোল্ট্রি খাতের প্রতিটি স্থরে সরকারের তদারকী কামনা করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের বিভাগীয় সহসভাপতি ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার ও মিজানুর রহমান মিলু এবং সাধারন সম্পাদক এনায়েত হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।