বরিশালের শত বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ঘেরা বরিশালের অশ্বিনী কুমার হল সংস্কার ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ প্রায় ৯৫ ভাগ সম্পন্ন করেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকচর্চা আরও বেশি বিকশিত করতে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগ প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সংস্কার কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। ঐতিহ্যেবাহী অশ্বিনী কুমার হলটিকে সম্পূর্ণ নতুন রূপে নগরীর বাসিন্দাদের উপহার দিবেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
হলটির মধ্যে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে আধুনিক শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে। এছাড়াও হলের অভ্যন্তরের অডিটোরিয়ামটিকে অত্যাধুনিক লেজার লাইট ও বিদেশি ফোকাস লাইট দিয়ে সাজানো হচ্ছে।তবে পূর্বের ন্যয় ব্রিটিশ ঐতিহ্যানুযায়ী লাল রংয়ে থাকছে বরিশালের এ ভবনটি।
প্রবীন সাংবাদিক ও সংস্কৃতিজন বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ্যাড.এস এম ইকবাল মহতি এ উদ্যেগের জন্য সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে ধন্যবাদ জানান।তিনি মনে করেন, নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অশ্বিনী কুমার টাউন হলটি বরিশালবাসীর তথা সাংস্কৃতিজনদের কাছে একটি হৃদয়ের স্তম্ভ। যা প্রায় ১শ’ বছর ধরে একই রকম অবস্থায় ছিল। বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হলেও ভবনের মূল ভিত্তি ঠিক রাখা হয়েছে। এ হলটি খুলে দেয়া হলে বরিশালের সাংস্কৃতিক অঙ্গন আরও বেশি উপকৃত হবে ।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ বলেন, অচিরেই ঐতিহ্যের স্বরূপ ফিরে পাচ্ছে বরিশালের শতবর্ষীয় ঐতিহাসিক অশ্বিনী কুমার হল। প্রায় ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে। তিনি আরো বলেন, ফিনিশিংয়ের কাজ শেষ হলেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছে হলটি হস্তান্তর করবেন। তবে খুবই শিগ্রই উন্মক্ত করা হবে হলটি।
তবে হলটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের শোক ও শুভেচ্ছা ব্যানারে ডাকা পড়ে পূর্বের ন্যায় এখনও হারাচ্ছে সৌন্দর্য্য। সেদিকে নজর নেই সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের। তাই সচেতন নাগরিকদের দাবি হলটির সৌন্দর্য ঠিক রাখতে দলীয় ব্যানারগুলো অপসারনের