অভিনয়ের সময় কনস্টেবলের ইউনিফর্ম পরে পুলিশের ডিআইজি-এসপির অভিনয় করতেন বাংলাদেশে আলোচিত ব্যক্তি আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এ ক্ষেত্রে তিনি কোনো ধরনের অনুমতি নিতেন না। তবে ভবিষ্যতে আর এমনটি করবেন না বলে জানিয়েছেন।
বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, এ ধরনের ইউনিফর্ম পরার আগে যে অনুমতি নেওয়া লাগে তা হিরো আলম জানতেন না বলে স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে হিরো আলম পুলিশের ইউনিফর্ম পরে বিকৃতভাবে অভিনয় না করার কথা জানিয়েছেন।
হিরো আলমের ভিডিও কন্টেন্টের বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, অর্থ রোজগারের জন্যই মূলত হিরো আলম বিভিন্ন ভাইরাল ইস্যু কেন্দ্রিক কন্টেন্ট তৈরি করতেন। গুণগত মানের চেয়ে তিনি বেশি ভিউ এবং বেশি উপার্জনের লক্ষ্যে নির্মাণ করতেন কন্টেন্ট।
এসময় দেশের বেশকিছু রাজনৈতিক নেতা ও মডেল-অভিনেত্রী নিয়ে হিরো আলমের বিভিন্ন গানের বিষয়ে ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম জানতে চায়। কিন্তু তিনি এসব বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। গানগুলো হচ্ছে, যেমন ‘পালালো পালালো মুরাদ হাসান’, ‘রাতের রানী পিয়াসা’ এবং মৌ ও পরীমনি নিয়ে বিভিন্ন গান।
ডিবি কার্যালয়ে হিরো আলম
এছাড়া বিভিন্ন জনপ্রিয় শিল্পী ও কলা-কুশলীদের গান গাওয়া ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এসব জিজ্ঞাসাবাদে হিরো আলম নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপ করবেন না বলে মুচলেকা দেন। এর আগে সকালে ডিবিতে ডাকা হয়েছিল হিরো আলমকে।
হিরো আলমের মুচলেকার বিষয়
> অভিনয়ের ক্ষেত্রে যে কোনো বিশেষ বাহিনীর পোশাক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিকৃতভাবে উপস্থাপন না করে তা যথাযথ নিয়ম মেনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করবেন।
> বাঙালি সংস্কৃতি বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয় এমন কোনো কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচার করবেন না।
> ব্যঙ্গাত্মক, মানহানিকর, হেয় প্রতিপন্নমূলক কোনো কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচার করবেন না।
> এমন কোনো কন্টেন্ট প্রচার করবেন না যাতে জনমনে অসন্তোষ তৈরি হয়।