রেল কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করলেন রনি

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

রেলওয়ের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে তিনি আপাতত কর্মসূচি স্থগিত করেছেন।

সোমবার (২৫ জুলাই) রাতে রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে টানা চার ঘণ্টা বৈঠক করেন রনি। সেখান থেকে বেরিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন তিনি।

বৈঠক শেষে মহিউদ্দিন রনি বলেন, ‘বৈঠকে রেলের যাবতীয় অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা উত্থাপন করেছি। তারা আমার দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবেন বলে জানিয়েছেন। আমার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সেজন্য আপাতত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি।’

 

বৈঠকে রেলসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘রেলের টিকিট সিস্টেম আরও উন্নত করা হচ্ছে। রনির দাবির সঙ্গে রেলওয়েও একমত। সিস্টেম উন্নত করার নির্দেশ দিয়ে সহজকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ই-টিকিটিং সিস্টেম উন্নত করার কাজ চলছে।’

তিনি বলেন, ‘রনিকে রেলের অংশীজন কমিটিতে রাখা হবে। যাতে তিনি তার পরামর্শ ফোরামে বলতে পারেন। ডিসেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ হয়ে যাবে। সহজের যে কর্মকর্তার সঙ্গে রনির অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তাকেও প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

এদিকে, রেলওয়ের জনসংযোগ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে মহিউদ্দিন রনিকে রেলভবনে আমন্ত্রণ জানান রেলসচিব ও রেলওয়ের মহাপরিচালক। পরে তারা বৈঠকে বসেন। টানা চার ঘণ্টা আলোচনা করেন তারা। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রনির সব দাবি বাস্তবায়নে আশ্বস্ত করেছেন।

 

রেলওয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনাসহ ৬ দফা দাবিতে গত ৬ জুলাই থেকে কমলাপুর স্টেশনে কর্মসূচি করছিলেন রনি। টানা ১৯ দিন আন্দোলনের পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পান তিনি। বৈঠকে রেল কর্মকর্তারা তাকে আশ্বস্ত করায় আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন।

মহিউদ্দিন রনির ৬ দফা দাবির মধ্যে ছিল- টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহজডটকমের যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করা, টিকিট কালোবাজারি রোধ, অনলাইন ও অফলাইনে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।

এছাড়া যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ, ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক মনিটর, ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়ে আসছেন তিনি।