ময়মনসিংহের ত্রিশালে দুর্ঘটনার সময় অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেট ফেঁটে রাস্তায় জন্ম নেওয়া শিশুটির ডান হাতের হাড় ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার হাতে প্লাস্টার করা হয়েছে। শনিবার ওই দুর্ঘটনায় মা-বাবা ও বোনকে হারিয়েছে শিশুটি।
শনিবার রাতে এ তথ্য দেন শিশুটির চাচা সাগর মিয়া।
শিশুটির আত্মীয়রা জানান, দুর্ঘটনার পরপরই প্রথমে তাকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্বজনদের ভাষ্য, চিকিৎসার প্রয়োজন ও চিকিৎসকদের পরামর্শে তারা বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।
নবজাতকের বাবার বন্ধু মো. শাহজাহান জানান, বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে ভিড় দেখে তারা নবজাতককে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে কমিউনিটি বেজড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে হাতের প্লাস্টার করানোর জন্য নগরের বেসরকারি লাবিব প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে আবার কমিউনিটি বেজড হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর হাতে প্লাস্টার করিয়ে আবার তাকে লাবিব প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
কমিউনিটি বেজড হাসপাতালের চিকিৎসক জান্নাতুল শিলা বলেন, শিশুটির ডান হাতের হাড় ভেঙে গেছে, সেখানে প্লাস্টার করা হয়েছে। তাছাড়া আর কোনো সমস্যা নেই।
এর আগে শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ত্রিশাল পৌর শহরের কোর্ট ভবন নামক এলাকায় ট্রাকচাপায় নিহত হন ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি গ্রামের ফকির বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না আক্তার (৩০) ও মেয়ে সানজিদা আক্তার (৬)। রত্না আক্তারের গর্ভে ছিল কন্যা শিশুটি।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকেই ট্রাকের চালক পলাতক, তবে ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।