তুলির আত্মহত্যা: তদন্তের মুখে দুই সাংবাদিক

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

সাবেক সিনিয়র সাংবাদিক ও নারী উদ্যোক্তা সোহানা পারভীন তুলির আত্মহত্যার ঘটনায় কারও প্ররোচনা রয়েছে কিনা, সেটার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

তদন্তের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

 

হাজারীবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোক্তারুজ্জামান বলেন, সাংবাদিক তুলির আত্মহত্যার পেছনে কারও প্ররোচনা আছে কিনা; সে বিষয়টি নিশ্চিত হতে তার দুই বন্ধুকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তারা আটক, তেমনটি বলা যাবে না।

পুলিশ জানায়, তুলির মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে; ঘটনার আগের দিন (মঙ্গলবার) এক বন্ধুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কথোপকথন হয়েছে তার। বন্ধুর মোবাইল ফোনের কললিস্টে আরও দেখা গেছে, তার অবস্থানও একই এলাকায়; অর্থাৎ রায়েরবাজার। বন্ধু তুলির ফ্লাটে গিয়েছিল কিনা বা তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কী ধরনের কথা হয়েছিল- এসব বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই দুই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

জানা গেছে, তুলির দুই বন্ধুই সাংবাদিক। এর মধ্যে একজন ওই বাসায় ঘন ঘন যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন ওই ফ্ল্যাটের নিচ থেকে এক সাংবাদিকের মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। মোটরসাইকেলটি বাসায় নিরাপত্তা প্রহরী শনাক্ত করেন।

 

এর আগে, বুধবার (১৩ জুলাই) রায়েরবাজারের বাসা থেকে সাংবাদিক তুলির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বজনরা বলছেন, তুলি এভাবে আত্মহত্যা করতে পারেন না। এর পেছনে অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে।