বরগুনার ১৬ গ্রামে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বরগুনার ১৬ গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। হযরত কাদেরিয়া চিশতিয়া তরিকা পন্থী ও কাদিয়ানী সম্প্রদায় সৌদির সাথে মিল রেখে প্রতিবছর এ ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকেন। ১৫০ বছর ধরে বরগুনায় এইভাবে ঈদুল আজহা উদযাপন হয়ে আসছে। 

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে শনিবার (৯ জুলাই) সকাল ৮টায় উপজেলার বকুলতলী গ্রামে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইমামতি করেন হাফেজ মো. রমজান আলী।

এলাকাবাসী জানান, ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা, খোন্তাকাটা, গ্রেদ লক্ষ্মীপুরা, হোসনাবাদ ইউনিয়নের আনার জলিশা, কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামে চিশতিয়া কাদেরীয়া সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার অনুসারীরা প্রতিবছরই সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে অগ্রীম রোজা ও অগ্রীম ঈদ পালন করে আসছেন।

এছাড়াও ঈদ উদযাপন করছেন, বরগুনা পৌর শহরের আমতলা, সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাজরাভাঙ্গা, কালিরতবক, গৌরীচন্না ইউনিয়নের  ধুপতি, গৌরীচন্না, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোজখালী, কুকুয়া ইউনিয়নের কুকুয়া, আউয়াল নগর, উত্তর তক্তাবুনিয়া পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের সিংড়াবুনিয়া, কাকচিড়া, তালতলী উপজেলার পশ্চিম ঝারাখালী ও করইবারিয়া গ্রামের  প্রায় আড়াই হাজার মানুষ ঈদ উদযাপন করেছে।

খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা আলী আহম্মদ বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের সঙ্গে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা পালন করে আসছি। তাই এখনও সেই নিয়মই পালন করছি।

বকুলতলী গ্রামের বাসিন্দা মো. গোলাম সরোয়ার জানান, প্রায় ১৫০ বছর ধরে তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগে রোজা ও কুরবানির ঈদ উদযাপন করে আসছেন। বাংলাদেশের সাতকানিয়া থানার মির্জাখিল দরবার শরীফের নির্দেশে এইভাবে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন।

বেতাগী দারুল ইসলাম মহিলা আলিম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক আকন্দ শফিকুল ইসলাম বলেন, বেতাগীতে কিছু মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন। এটি তাদের দীর্ঘদিনের রীতি। তবে এটা শরিয়ত সম্মত নয়। কারণ সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সময় ব্যবধান ৩ ঘণ্টা। যদি সৌদির সাথে মিল রেখে রোজা এবং ঈদের নামাজ আদায় করতে হয় তাহলে তারা কেন অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান সৌদির সাথে মিল রেখে করেন না।

বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা অগ্রিম রোজা পালন করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরেই উপজেলার কিছু গ্রামের মানুষ এভাবেই রোজা ও দুই ঈদ পালন করেন।