এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হলো জাপানবাসী। দেশটির সাবেক দুইবারের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হলো। চিকিৎসকদের সাড়ে চার ঘণ্টার চেষ্টায়ও তাকে বাঁচানো যায়নি। দেশে-বিদেশে তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন।
জানা গেছে, ১৯৫৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জাপানের রাজধানী টোকিওতে এক সম্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন আবে। তার দাদা ও চাচাও জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়া তার বাবা ছিলেন ডানপন্থি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপির) সাবেক মহাসচিব।
আবে টোকিওর সেইকি ও দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তবে ১৯৭৯ সালে তিনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হন। এর তিন বছর পর তিনি জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান।
তিনি প্রথম ১৯৯৩ সালে জাপানের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৩৮ বছর। ২০০০ সালে তিনি বেশ কিছু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপালন করেন ও ২০০৩ সালে এলডিপির মহাসচিব হন। এর চার বছর পর আবে দলটির প্রেসিডেন্ট হন। এরপরই জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন।
তার প্রথম মেয়াদে স্বাস্থ্যখাতে কিছু বিতর্ক তৈরি হয়। ২০০৭ সালে তিনি দল ও প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন। এরপর পাঁচ বছরে বেশ কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। সবশেষ ২০২০ সালে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
শুক্রবার (৮ জুলাই) বন্দুকধারীর গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার পর মারা গেছেন ৬৭ বছর বয়সী এ জাপানি রাজনীতিবিদ।