‘অসন্তোষের’ কারণে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ওপর বন্দুক হামলা চালানো হয়েছিল। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হামলাকারী তিতসুয়া ইয়ামাগামি এ তথ্য জানিয়েছে।
যে শহরে ভাষণ দেওয়ার সময় আবের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল সেই নারা শহরেরই বাসিন্দা হচ্ছেন ইয়ামাগামি। সে জাপানের নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য।
নাহা প্রিফেকচারাল পুলিশ ইয়ামাগামিকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবের রাজনৈতিক বিশ্বাসের ওপর কোনো ক্ষোভ নয়, বরং তার ওপর অসন্তুষ্ট’ ছিলেন হামলাকারী।
কঠোর বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের কারণে জাপানে গুলি করে কাউকে হত্যা বিরল ঘটনা। হামলাকারী যে বন্দুক দিয়ে আবেকে গুলি করেছে সেটি তার বানানো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জাপান টুডে জানিয়েছে, আবের আততায়ীর ব্যবহৃত অস্ত্রটি দিয়ে গুলি বের হওয়ার সময় এমন শব্দ করেছিল যা একটি বিস্ফোরণের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। গুলি ছোড়ার পরে সাদা ধোঁয়া বাতাসে উঠেছিল। অস্ত্রটির নল ডাক্ট টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে নারা শহরে এক ট্রেন স্টেশনের কাছে নির্বাচনী পথসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন আবে। ওই সময় পেছন থেকে গুলি করা হয় ৬৭ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।