পদ্মা সেতু চালুর পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার হ্রাস পেয়েছিল। অনেকেরই ধারণা ছিল, পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা আর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুট ব্যবহার করবেন না।
তবে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরের পর থেকে পাল্টে যায় পাটুরিয়া ঘাটের চিত্র। ঈদকে সামনে রেখে শতশত যাত্রী ও যানবাহন জড়ো হয় ঘাটে। বিকেল চারটার দিকে লঞ্চ ও ফেরিতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।
সকালের দিকে ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চাপ বেশি থাকলেও দুপুরের দিকে দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা বাড়ে। তবে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লেও ভোগান্তি ছাড়াই লঞ্চ-ফেরি পারাপার হতে পেরেছে ঘরমুখো মানুষ। দূরপাল্লার বাসগুলোকে ফেরি পারের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে।
ঘাটের ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঘাট একেবারেই যানবাহন ও যাত্রীশূন্য হয়ে পড়েছিল। কিন্তু আজকে অনেক যাত্রী ও যানবাহন দেখে ভালো লাগছে। মরা ঘাট যেন আবার জেগে উঠেছে।
ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের আগে বৃহস্পতিবার ছিল চাকরিজীবীদের শেষ কর্মদিবস। এছাড়া সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর ও নবীনগরের কারখানাগুলো ছুটি হওয়ার পর ঘাটে যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে।
বাসচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যারা সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, নবীনগর ও গাবতলী এলাকায় বসবাস করেন তাদের বেশিরভাগই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। কারণ পদ্মা সেতু দিয়ে যেতে চাইলে রাজধানীর ভেতরে যানজটে আটকা পড়ার শঙ্কা আছে তাদের। ফেরি ঘাটেও দুর্ভোগ-ভোগান্তি নেই। যে কারণে এই রুটেই এসেছেন তারা। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ি জেলার বেশির ভাগ মানুষ বাস যাতায়াতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটই ব্যবহার করছেন।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, বুধবার (৬ জুলাই) থেকেই ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। তবে বৃহস্পতিবার এই চাপ ছিল বেশি। দুপুরের পর যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় আগের ঈদগুলোতে যে পরিমাণ যানবাহন ও যাত্রী পারাপার হতো তার চেয়ে এবার অনেক কম। যে কারণে ভোগান্তি ছাড়াই সবাই ঘাট পার হতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, দিনভর ২১টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হয়। শুক্রবারও ঘাটে যাত্রী-যানবাহনের চাপ থাকতে পারে।