৬ বছর বয়সী শিশু আয়শা মনি। তার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা জরুরি ভিত্তিতে কিডনি ডায়ালাইসিস করার পরামর্শ দিয়েছেন।
আয়শার বাবা শাহীন হাওলাদার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সামান্য রুটির দোকান দিয়ে কোনোরকম চলে সংসার। তার পক্ষে মেয়ের ব্যয়বহুল চিকিৎসার ব্যয় মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।
আয়শার মা তানিয়া বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় হঠাৎ হাত-পা, পেট মুখমন্ডলসহ সমস্ত শরীর ফুলে অসুস্থ হয়ে পড়ে আয়শা।
এরপর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আকতারুজ্জামানের শরণাপন্ন হলে তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আয়শা কিডনি রোগে আক্রান্ত বলে জানান।
তিনি আয়শাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. এসআর তালুকদার মুজিবের কাছে পাঠান।
সেখানের চিকিৎসায়ও সুস্থ না হওয়ায় গত ১৭ এপ্রিল ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড মিডফোর্ট হাসপাতালের কিডনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নয়ন রঞ্জন সরকারের শরণাপন্ন হলে তিনি অতি দ্রুত আয়শার কিডনি ডায়ালাইসিস করার পরামর্শ দেন।
এতে সব মিলিয়ে ২ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। ইতোমধ্যে আয়শার চিকিৎসা খরচ চালাতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলেও জানান তিনি।
এখন টাকার অভাবে শিশু সন্তানকে বুকে চেপে ধরে উন্নত চিকিসার জন্য কোথায় যাবেন, কার কাছে যাবেন ভেবে কূল-কিনারা পাচ্ছেন না তারা। টাকার অভাবে আড়াই মাস পর্যন্ত আয়শার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।
ফলে দিনদিন আয়শা মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এমতাবস্থায় মেয়ের চিকিৎসার জন্য তিনি সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।