সরকারি চাকরি: শূন্যপদ সাড়ে ৩ লাখ, পদ বেড়েছে ২৭ হাজার

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

সরকারি চাকরিতে এক বছরে পদ বেড়েছে ২৭ হাজার ১৮৪টি, অন্যদিকে শূন্যপদের সংখ্যা কমেছে ২২ হাজার ৮৩০টি। ২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রশাসনে মোট অনুমোদিত ১৯ লাখ ১৩ হাজার ৫২টি পদের বিপরীতে তিন লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি পদ শূন্য। ২০২০ সালে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৮টি, পদ শূন্য ছিল তিন লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫টি।

জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিসংখ্যান নিয়ে ২০২১ সালের ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস’ বই থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংস্কার ও গবেষণা অনুবিভাগের পরিসংখ্যান এবং গবেষণা কোষ প্রতিবছর ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস’ নামের বই প্রকাশ করে। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ২০২১ সালের পরিসংখ্যান নিয়ে বইটি প্রকাশিত হয়েছে।

পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, শূন্য পদের মধ্যে ৪৩ হাজার ৩৩৬টি প্রথম শ্রেণির, ৪০ হাজার ৫৬১টি দ্বিতীয় শ্রেণির, এক লাখ ৫১ হাজার ৫৪৮টি তৃতীয় শ্রেণির এবং এক লাখ ২২ হাজার ৬৮০টি তৃতীয় শ্রেণির পদ রয়েছে।

মন্ত্রণালয় ও বিভাগ পর্যায়ে ১৮ হাজার ২৪০টি পদের মধ্যে শূন্য পাঁচ হাজার ২৮৪টি, সংস্থা ও অধিদফতর পর্যায়ে ১৪ লাখ ২১ হাজার ৭৩টি পদের মধ্যে শূন্য দুই লাখ ৬৮ হাজার ৭৪৬টি। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অফিসে ১৪ হাজার ৮৪১টি পদ খালি রয়েছে, এখানে মোট পদের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৯৭১টি।

গত ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনগুলোতে চার লাখ ২৬ হাজার ৭৬৮টি পদের মধ্যে ৬৯ হাজার ২৫৪টি পদ খালি ছিল।

২০১৯ সালে শূন্য পদের সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি। এর আগের বছর তিন লাখ ৯৩ হাজার ২৪৭টি পদ খালি ছিল। ২০১৭ সালে পদ খালি ছিল তিন লাখ ৯৯ হাজার ৮৭৯টি।

প্রশাসনে মোট কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৯২৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৫০ হাজার ৩৩৬ জন এবং নারী চার লাখ চার হাজার ৫৯১ জন। নারীদের হার ২৬ শতাংশ। এর আগের বছর এ হার ছিল ২৭ শতাংশ।

প্রথম শ্রেণির পদে নারী ৩৯ হাজার ৭৮৭ জন এবং পুরুষ এক লাখ ৫৫ হাজার ৮৯২ জন। দ্বিতীয় শ্রেণির পদে পুরুষ এক লাখ ২১ হাজার ৪৮৫ জন ও নারী ৪৮ হাজার ৭০৪ জন। তৃতীয় শ্রেণির পদে পুরুষ ছয় লাখ ৬৯ হাজার ৩৪ জন ও নারী দুই লাখ ৮৮ হাজার ৯৩৩ জন। চতুর্থ শ্রেণির পদে নারী ২৭ হাজার ১৬৭ জন ও পুরুষ দুই লাখ তিন হাজার ৯২৫ জন।

প্রচ্ছদবিনোদন এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago