ফেনসিডিল, ইয়াবার পর এবার সিসাকে মাদক আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) জামাল উদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওস্থ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উদ্বোধনীতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নেশাদ্রব্য হিসেবে সিসার ব্যবহার বাড়ছে। ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগেই মাদক হিসেবে সিসার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। মাদক নির্মূল ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হলে অস্ত্র দরকার। আমাদের কর্মকর্তাদের অস্ত্র সরবাহের প্রক্রিয়া চলছে।
বিভাগীয় ও জেলা কর্মকর্তাদের কমপক্ষে একটি করে যানবাহন আরও বাড়ানোর উদ্যোগ এ বছরই বাস্তবায়ন করা হবে। মাদকের চোরাচালান দারিদ্রের পথে বাধা উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, মাদক শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটায়। মানবসম্পদের উন্নয়নে চরম বাধা এ মাদক। মাদকের করালগ্রাস থেকে জাতিকে মুক্ত করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কাজ করছে।
ডিজি বলেন, মাদকাসক্তরাও মানুষ। তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি জেলা শহরে ৫০ শয্যার নিরাময় কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। কেমিক্যাল পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি ও মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নেয়া কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও এই বছরে চালু করা হবে।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) জামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য টিপু মুন্সি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এমদাদুল হক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্য ডাক্তার অরুপ রতন চৌধুরী ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম।