বরগুনার পাথরঘাটায় কুয়েত প্রবাসী হাসানের (৩০) বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছেন পিরোজপুর জেলার জর্ডান প্রবাসী সোনিয়া (৩৪)। গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে হাসানের বাড়িতে অবস্থান নেন সোনিয়া।
হাসান উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের পশ্চিম আমড়াতলা চার নম্বর ওয়ার্ডের আলতাফ চৌকিদারের ছেলে। হাসান পাঁচ বছর ধরে কুয়েতে অবস্থান করছেন। বিয়ের দাবিতে অনশনরত সোনিয়া পিরোজপুর জেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের বাদুরা সাত নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুস সামাদ জোমাদ্দারের মেয়ে। গত বছর জর্ডান থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি।
সোনিয়া জানান, জর্ডানে থাকার সময় একটি প্রবাসী গ্রুপের মাধ্যমে তিন বছর আগে কুয়েত প্রবাসী হাসানের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। মোবাইল ফোনে নিয়মিত যোগাযোগের একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সোনিয়ার অভিযোগ, হাসান বিয়ের আশ্বাসে ভিডিও কলে তাঁকে বস্ত্রহীন অবস্থায় বহুবার দেখেছেন। তাঁদের সামনাসামনি দেখা না হলেও অনাগত সন্তানের কথা ভেবে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলে এবং জমি কেনার কথা বলে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন হাসান।
সোনিয়া বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের দুই দিন পর থেকে হাসানের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাচ্ছেন। অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে না পেরে বাধ্য হয়ে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে পাথরঘাটায় হাসানের বাড়িতে এসেছি। বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এই বাড়ি থেকে কোথাও যাব না।’
এ ব্যাপারে জানতে হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘সোনিয়ার সঙ্গে আমার ১৫ দিনের সম্পর্ক, আমি বিশ্বাস করে শুধু কথা বলেছি। এই সুযোগে আমার সঙ্গে কথা বলার স্ক্রিনশট নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে। আমি তাকে ঈদে ৫ হাজার টাকাও দিয়েছি। এ ছাড়া আর কিছুই না। আমি তাকে বিয়ের কোনো প্রলোভন দেখাইনি বরং সে একজন তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে। আমাকে হয়রানি করতে আমার বাড়িতে উঠে বাবা-মাকে হুমকি দিচ্ছে।’
হাসানের মা ফাতিমা বেগম বলেন, ‘সোনিয়াকে তার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে আসতে বলেছি। কিন্তু কিছুতেই সে তাঁর লোকজন নিয়ে আসছে না।’
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘অনশনের ঘটনা জানতে পেরে আমরা সোনিয়া নামের ওই নারীকে আইনি সহায়তা দিতে চেয়েছি। কিন্তু তিনি আইনগত কোনো সহায়তা না নিয়ে অনধিকার অন্যের বাড়িতে প্রবেশ করে জন দুর্ভোগ তৈরি করেছেন। তাঁকে আইনি সহায়তা নিতে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বোঝানো হচ্ছে।