চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আসামি ধরতে গিয়ে আসামির ধারালো দায়ের কোপে বাম হাতের কব্জি হারানো সেই পুলিশ সদস্যকে হেলিকপ্টারে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রোববার বিকালে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
জানা গেছে, রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের লালারখীল এলাকায় আসামি ধরতে গেলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় আসামির ধারালো দায়ের কোপে পুলিশ সদস্য মো. জনি খানের (২৮) বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হামলার ঘটনায় আরও দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। তারা হলেন- শাহাদত হোসেন (২৭) ও মামলার বাদী স্থানীয় মো আবুল হোসেন কালু।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লোহাগাড়া থানা পুলিশের একটি টিম আসামি কবির আহমদকে গ্রেফতারের জন্য লালারখিলের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় আসামি কবির আহমদ গ্রেফতার এড়ানোর জন্য ধারালো দা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে।
আসামির দায়ের কোপে মো. জনি খানের বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য এক পুলিশ সদস্য ও মামলার বাদী আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু দা, ছুরিসহ দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পদুয়া এলাকার বাসিন্দা মো. আবুল হোসেন গত ২৪ মার্চ অনধিকার প্রবেশ ও মারামারির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পদুয়ার লালারখিল এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে কবির আহমদকে (৪০) ২ নম্বর আসামি করা হয়। রোববার সকাল ১০টার দিকে লোহাগাড়ার থানার এসআই ভক্ত চন্দ্র দত্তের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম আসামি কবির আহমদকে গ্রেফতারের জন্য তার বাড়িতে অভিযান চালায়।
লোহাগাড়া উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়া এক পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়া পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ওই ঘটনায় আহত অন্য এক পুলিশ সদস্য ও মামলার বাদীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, পুলিশ কনস্টেবল মো. জনি খানকে রোববার বিকালেই উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।