বরিশালে সয়াবিন তেলের সংকট, নিত্যপণ্যের দামেও আগুন

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

দাম বাড়লেও বরিশালের বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট কাটেনি। বাড়তি দাম দিয়েও ক্রেতারা তেল কিনতে পারছেন না। অন্যদিকে সবজিসহ অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও চড়া।

 

মাছের দাম ও ব্রয়লার মুরগির দামেও উত্তাপ। এছাড়া ঈদুল ফিতরের আগে বেড়ে যাওয়া গরু এবং খাসির মাংসের দামও কমেনি। ফলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। শনিবার (৭ মে) সকালে নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি প্রতিপিস ৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৭০ টাকা, বেগুনের কেজি ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, টমেটো ৭০ টাকা, ধনেপাতা ১৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, ঝিঙে ৩০ টাকা, ঢেঁড়শ ৩০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা ও আলু ১৮-২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের শাকের আঁটি ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মসুর ডাল, আদা, পেঁয়াজ, রসুন, চিনি ও আটা-ময়দার দামে কোনো হেরফের নেই। দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা, দেশি আদা ৯০ টাকা, চায়না আদা ১২০ টাকা, দেশি রসুন ৬০ টাকা, চায়না রসুন ১২০ টাকা, বড় দানার মসুর ডাল ৯৫ টাকা, ছোট দানার মসুর ডাল ১৩০ টাকা, খোলা চিনি ৮০ টাকা, প্যাকেট চিনি ৮৫ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৫ টাকা ও প্যাকেট ময়দা ৫৫-৬০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, বাড়তি দামেও সয়াবিন তেল দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না বলে বেশ কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করেছেন।

 

নগরীর পুরান বাজারে কেনাকাটা করতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, বাসায় সয়াবিন তেল নেই। বাজারেরও সয়াবিন পাওয়া যাচ্ছে না। সয়াবিনের বদলে কী তেল কিনবো ভাবছি।

 

মো. শাহিন নামে আরেকজন ক্রেতা জানান, অনেক খুঁজে তিনি এক দোকানে সয়াবিন তেল পেয়েছেন। তবে বোতল পাননি। খোলা সয়াবিন কেজি হিসেবে কিনেছেন। তিনি ১ কেজি খোলা সয়াবিন কিনেছেন ২১০ টাকায়।

 

অন্যদিকে, ঈদুল ফিতরের আগে বেড়ে যাওয়া গরু, খাসি ও ফার্মের মুরগির দাম কমেনি। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬৫ টাকা, সোনালি মুরগির কেজি ৩০০ এবং কক বা লেয়ার ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিমের দাম প্রতি হালি ৩৭-৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বাজারে চাহিদার তুলনায় মাছের সরবরাহ কম। তাই মাছের দাম চড়া। আকারভেদে চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা, রুই ৪০০-৫০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাশ ১৮০-২০০ টাকা, কাতলা ৪০০-৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৫০ টাকা, সাগরের ঢেলা ৩৪০-৩৬০ টাকা, আকারভেদে আইড় ৯০০ থেকে ১১০০ টাকা, দেশি শিং ৯৫০-১০০০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর পুরান বাজারের নিউ আজাদ স্টোরের মালিক সৈয়দ আজাদ আহম্মেদ বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে থেকেই ভোজ্যতেল কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা চাহিদামতো তেল সরবরাহ করছেন না।

এরপর ঈদের পর থেকে এ পর্যন্ত এক বোতল সয়াবিন তেলও তারা সরবরাহ করেননি। এ কারণে দোকানে সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি হয়েছে।বাজারের প্রায় সব দোকানেই সয়াবিন তেল নেই। দু’এক জনের কাছে হয়তো খোলা সয়াবিন থাকতে পারে। তাও অপ্রতুল।