বরিশালে ঈদের পঞ্চম দিনেও তিল ঠাঁই নেই লঞ্চের ছাদে

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

ঈদের পঞ্চম দিনে বরিশাল থেকে রাতে ছাদ ভর্তি করে লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। নজরদারি সত্ত্বেও লঞ্চগুলো ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি সংখ্যায় যাত্রী পরিবহন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রয়েছে টিকিট কালোবাজারি ও অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগও।

 

শনিবার নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা আগে থেকেই লঞ্চগুলো ঢাকাসহ অন্যান্য গন্তব্যের উদ্দেশে নদীবন্দর ছাড়তে শুরু করে। এদিন বিকাল থেকেই নদীবন্দরটিতে যাত্রীদের উপচে পরা ভিড় ছিল। লঞ্চের ডেকগুলো তো যাত্রী পরিপূর্ণ ছিলই।

 

কেবিনগুলোর সামনেও হাঁটার জায়গা পর্যন্ত ছিল না। সবগুলো লঞ্চের ছাদেই যাত্রীদের গাদাগাদি অবস্থা দেখা গেছে। বিশেষ করে, প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চের ছাদে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।

 

শনিবার সন্ধ্যায় বরিশাল নদীবন্দর থেকে সরাসরি রুটের মোট ১৩টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ৬টা ৩৫ মিনিটে প্রিন্স আওলাদ-১০, ৬টা ৪৫ মিনিটে অ্যাডভেঞ্চার-১, ৬টা ৪৯ মিনিটে সুরভী-৭ ও পারাবাত-১২, ৬টা ৫৪ মিনিটে মানামী, ৭টায় সুরভী-৮, কুয়াকাটা-২ ও সুন্দরবন-১০, ৭টা ১০ মিনিটে কীর্তণখোলা-১০ ও পারাবাত-৯, ৭টা ১২ মিনিটে পারাবাত-১০ ও সুন্দরবন-১১ লঞ্চ নদী বন্দর ত‌্যাগ করে। এরপর একে একে ভায়াসহ সব লঞ্চ বন্দর ছাড়তে শুরু করে।

 

এদিকে পারাবাত কোম্পানির লঞ্চগুলোসহ বিভিন্ন লঞ্চে ডেকের টিকেট কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। লঞ্চের স্টাফরা ডেকে চাদর পেতে প্রতি চাদরের জায়গা ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি করেছেন।

 

রাশেদুর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, পারাবাত-১২ লঞ্চে এসেছি দুপুরে। এসে তেমন যাত্রী দেখা না গেলেও পুরো ডেক চাদরে ভরা ছিলে। পরে লঞ্চের স্টাফরা ১ হাজার টাকা দাবি করেন ডেকে সিট দেয়ার জন‌্য। বাধ‌্য হয়ে লঞ্চের ছাদে উঠে ঢাকায় যাচ্ছি।

 

বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের চারজন নির্বাহী ম‌্যাজিস্ট্রেট নদী বন্দরে কাজ করছেন। কোনো লঞ্চ যেন ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রী পরিবহন না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে।’