ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীমুখী যাত্রীদের ব্যাপক চাপ পড়েছে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে। ঢাকা-বরিশাল রুটের বাসগুলোতে টিকেট না থাকায় যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে রওনা হচ্ছেন ঢাকার পথে।
নথুল্লাবাদ থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের বাসগুলো যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ছুটছে মাওয়ার পথে।
বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আজ শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীমুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
ঢাকা-বরিশাল রুটের বাস কাউন্টারগুলোর সামনে ভিড় থাকলেও টিকেট ছিল না কোনো কাউন্টারেই।
তবে বরিশাল-মাওয়া রুটের বিএমএফ কাউন্টারে যাত্রীদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। পূর্বনির্ধারিত ৩০০ টাকা ভাড়ায়ই যাত্রী পরিবহণ করছে তারা।
শুক্রবার দুপুরে গিয়ে টার্মিনালের যে অংশে বাস রাখা হয় সেই স্থানটি পুরো ফাঁকা দেখা যায়।
সেখানে থাকা অভ্যন্তরীণ রুটের বাসগুলোকে মাওয়ার যাত্রী ওঠাতে দেখা গেছে টার্মিনালের সামনে থেকে।
মাওয়া পর্যন্ত কোনো বাসে ৩০০ টাকা, আবার কোনো বাসে ৪০০ টাকা ভাড়ার কথা বলে নেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের।
শারমিন সুলতানা নামে এক গৃহবধূ বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে নিজ বাসায় ঈদ করতে এসেছিলাম ২৮ তারিখ।
এখন ঢাকায় ফিরতে হবে। মিডিয়ায় বৃহস্পতিবার লঞ্চে অনেক ভিড় দেখেছি। তাই নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে এসেছি। এখানে এসে ঢাকার বাসের টিকেট পাইনি।
তাই ভেঙে ভেঙে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লোকাল বাসগুলো মাওয়া পর্যন্ত যাচ্ছে। এরপর সেখান থেকে লঞ্চে ওপার যাব।’
রুকাইয়া বিনতে রুবি বলেন, ‘বাস টার্মিনালে এসেছি দুপুর ১টার দিকে। অনেকক্ষণ বসে থাকার পর বিএমএফ পরিবহণের একটি বাসের টিকেট পেয়েছি। মাওয়া পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলেই হয়। তারপর ঢাকা যাওয়াই যাবে।’
বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটের সামি সাদি পরিবহণের চালক মো. জুয়েল বলেন, ‘ঢাকার যাত্রীদের চাপ থাকায় মালিক সমিতির অনুমতি নিয়ে আমরা মাওয়ায় যাত্রী নিচ্ছি। তাছাড়া গাদাগাদি করে যাত্রী নিচ্ছি না, আর মাওয়ায় যে ভাড়া সেটাই নেওয়া হচ্ছে।’
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, ‘শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকামুখী যাত্রীদের প্রচুর চাপ বাস টার্মিনালে।
যাত্রী সেবায় আমরা কাজ করছি। কোনো বাসকেই অতিরিক্ত যাত্রী নিতে দেওয়া হচ্ছে না।’
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শেখ মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টা